আইন-বিচার
হেফাজত নেতা শরিফউল্লাহর ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফউল্লাহকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। ২০১৩ সালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে করা হামলার মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) শরিফউল্লাহকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক আয়ান মাহমুদ। ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগ এলাকা থেকে মুফতি শরিফউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ। যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় এজাহারনামীয় আসামি মুফতি শরিফউল্লাহ। ২০১৩ সালের ৬ মে যাত্রাবাড়ী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল।
এর আগে, গত ১২ এপ্রিল ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলে জ্বালাও-পোড়াও মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও র্যাব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুফতি শরিফউল্লাহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১৩ সালের ৫ মের তাণ্ডব ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের সহিংসতার সঙ্গে তার যোগসূত্র রয়েছে।
একইদিন সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হক কাণ্ডে হেফাজতের হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতায় পুলিশের করা মামলার প্রধান আসামিসহ সংগঠনের চার নেতাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১। ওই ঘটনায় যতগুলো মামলা হয়েছে তার প্রত্যেকটিতেই এই চারজন আসামি।
গ্রেফতাররা হলেন: রয়েল রিসোর্টে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশি কাজে বাঁধা এবং নাশকতার মামলার প্রধান আসামি সোনারগাঁও উপজেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি ইকবাল হোসেন (৫০), সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের আমির মহিউদ্দিন খান (৫০), সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সেক্রেটারি শাহাজাহান ওরফে শিবলী (৪৩) ও সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম (৪৯)।
শেখ সোহান
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ