এশিয়া
কাশ্মির ইস্যুতে গোপন বৈঠক করেছে ভারত-পাকিস্তান
কাশ্মির ইস্যুতে বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে গেল জানুয়ারি মাসে দুবাইয়ে গোপন বৈঠক করেছে ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বুধবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বার্তা সংস্থাটির দাবি, বৈঠকের বিষয়ে অবগত দিল্লির একাধিক ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দুইটি সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মধ্যস্থতায় দুবাইয়ে বৈঠকে বসেছিল ভারতের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং-আরএডব্লিউ) এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স)-এর কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও এতে সাড়া দেয়নি তাদের কেউই।
খবরে বলা হয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুই দেশই। কয়েক মাস ধরেই এই বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। তবে দুই দেশেই তাদের সাধারণ নাগরিকদের লোকচক্ষুর আড়ালেই করতে চেয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ২০১৯ সালে কাশ্মিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর দুই বৈরী প্রতিবেশীর সম্পর্ক আরও খারাপ হতে থাকে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় পাকিস্তানকে আরও ক্ষেপিয়ে তোলে। এরই জেরে দুই দেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, দুই দেশের সরকার বিকল্প কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি মাঝারি রোডম্যাপ গ্রহণ করেছে।
আয়েশা সিদ্দিকা নামে এক শীর্ষস্থানীয় পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরে তৃতীয় দেশে সাক্ষাৎ করছে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। আয়েশা বলেন, আমার মনে হয় থাইল্যান্ড, দুবাই, লন্ডনে ভারত-পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা২৪ জানিয়েছে, রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী দুই দেশ জানুয়ারিতে সীমান্ত নিয়ে বৈঠকের পরও কাশ্মির সীমান্তে এখনও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কড়া পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একদিন শেলিং হামলায় বিরতি থাকলেও কাশ্মিরে নিজেদের সক্রিয় রেখেছে পাক মদদপুষ্ট বলে দাবি জঙ্গি সংগঠনগুলো। এর জেরে একের পর এক এনকাউন্টার হচ্ছে। কাশ্মিরে প্রায়ই গোলাগুলি হয়। এই সমস্যা আদৌ মেটে কিনা বা মিটলেও সেই দিন কবে সে দিকেই তাকিয়ে কাশ্মিরবাসী।
ভারত ও পাকিস্তানের কাশ্মির সমস্যা বহু পুরনো। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় হামলার পর থেকে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ফের তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এরপর পাল্টা এয়ারস্ট্রাইক ও একাধিক কার্যকলাপে এই মুহূর্তেও পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি।
এমনকি ভারত কাশ্মির থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে নিলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পারমাণবিক হামলার হুমকি দেওয়া হয়। যদিও সেই হামলা হলে ভারত তৈরি বলে জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধানও।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই গরম আবহের মধ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিরা সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর জন্য বৈঠকের বিষয়টি পুরো এশিয়ার জন্য দারুণ বার্তা। ধীরে ধীরে এই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের উন্নতি হওয়া নিয়েই দুবাইয়ে এই বৈঠক হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/