দক্ষিণ আমেরিকা
এবার রাশিয়ার জবাব; রাষ্ট্রদূতসহ ১০ মার্কিন কূটনীতিককে মস্কো ছাড়ার নির্দেশ
রাষ্ট্রদূতসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১০ কূটনীতিককে মস্কো ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া সরকার। একদিনের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ১০ রুশ কূটনীতিককে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাল্টা জবাব দিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। রাশিয়া জানিয়েছে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকেও ওয়াশিংটন ফিরে যেতে হবে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে ১০ মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কারের কথা জানায় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান আটজন কর্মকর্তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তা রুশ-বিরোধী নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে মস্কো।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মস্কোয় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন সুলিভানকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য রাশিয়া ছাড়তে বলা হয়েছে।
পাল্টা রুশ পদক্ষেপের আওতায় এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে, ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স পরিচালক আরভিল হেইনেস, মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়কমন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাসের রাশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজন্সের পরিচালক মাইকেল কারভাজাল, ডমিস্টিক পলিসি কাউন্সিলের পরিচালক সুসান রাইস, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এবং সিআইএর সাবেক প্রধান রবার্ট জেমস উলসির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাশিয়ায় মার্কিন তহবিল এবং এনজিও কার্যক্রমের ওপরও। এসব এনজিওর মাধ্যমে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করে থাকে বলে মনে করে রুশ সরকার।
এর আগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, ১০ মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করা ছাড়াও প্রশাসনের আট কর্মকর্তাসহ রুশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে এমন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। সেইসঙ্গে রাশিয়ায় মার্কিন তহবিল এবং এনজিওগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করবে। এসব এনজিও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে বলে মনে করে রাশিয়া।
ল্যাভরভ আরও বলেন, রাশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসার ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ভেবে দেখছে মস্কো।
এদিকে, গেল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সাইবার অপরাধে সংযুক্ত ছয়টি রুশ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং গেল বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এসএন
দক্ষিণ আমেরিকা
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।
দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।
নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।
ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।
বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।
জেএইচ