Connect with us

দক্ষিণ আমেরিকা

কমলা হ্যারিসকে হত্যার হুমকি, নারী আটক

Published

on

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ফ্লোরিডায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম নিভিয়ান পেটিট ফেলপস। শনিবার মিয়ামির ওই নার্সকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস। তিনি কমলা হ্যারিসকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। পরে ফ্লোরিডার একটি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, সম্প্রতি একটি ভিডিওতে কমলা হ্যারিসকে সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছেন ফেলপস। ভিডিওতে তিনি বলেন, কমলা হ্যারিস, তোমার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। ইতোমধ্যে তোমার দিন গোনা শুরু হয়ে গেছে। তোমার মৃত্যু এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। হত্যার জন্য আমাকে ৫৩ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে এবং আমি কাজটি করতে যাচ্ছি, প্রস্তুত থাকো।

কয়েকদিন আগে কারাগারে থাকা তার স্বামীকে একটি ভিডিওবার্তা পাঠান ফেলপস। কারাগারে জেপে নামে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভিডিও বার্তা পাঠান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দিদের সঙ্গে এভাবে যোগাযোগ করতে পারে পরিবার। সেখানেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কমলা হ্যারিসকে উদ্দেশ করে সরাসরি আক্রমণাত্মক ভিডিওবার্তা প্রকাশ করতে থাকেন ওই নার্স। এমনকি একটি ছবিতে তার হাতে অস্ত্রও দেখা গেছে।

ওই নারীর বিরুদ্ধে সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট অব ফ্লোরিডায় দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসসহ অন্যদের সম্পর্কে ঘৃণা প্রকাশ করে ক্রোধে কথা বলছিলেন ফেলপস। ভিডিওগুলিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসকে হত্যার কথাও বলেছেন তিনি।

ফেলপসের ভিডিওর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে গেলে এ নিয়ে তদন্ত করেন স্পেশাল এজেন্ট ডেভিড বেলেঙ্গার। পরে হুমকির প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা করেন তিনি।

Advertisement

মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি এক ভিডিও বার্তায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে উদ্দেশ করে হুমকিদাতা বলেন, ঈশ্বরের নামে শপথ করছি, আজ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে তোমার মৃত্যু হবে। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ আগ্নেয়াস্ত্রের পারমিটের জন্য আবেদন করেন ফেলপস।

হুমকিদাতা নারীর ওপর নজরদারি চালু রাখা হয়েছিল। ৩ মার্চ এক গোয়েন্দা সদস্য তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এর দুই দিন পর পুলিশকে ফেলপস জানান, কর্মক্ষেত্রে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

৬ মার্চ পুলিশকে ফেলপস বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ওপর ক্ষুব্ধ থাকলেও এখন সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। কেউ একজন তাকে বলেছিল, কমলা হ্যারিস প্রকৃত অর্থে একজন কৃষ্ণাঙ্গ নন। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথের সময় বাইবেলে হাত না রেখে অন্যত্র হাত রেখেছেন তিনি।

কৃষ্ণাঙ্গ বাবা ও ভারতীয় মায়ের সন্তান কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে নানা প্রচারণা চলছে। নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরূপ প্রচারণা চালিয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

 

Advertisement

এসএন

Advertisement

দক্ষিণ আমেরিকা

ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী

Published

on

ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।

দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।

এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।

নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

Advertisement

২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।

ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দক্ষিণ আমেরিকা

আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন

Published

on

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’

জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।

তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।

বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’

Advertisement

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দক্ষিণ আমেরিকা

নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ

Published

on

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’

রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।

এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’

Advertisement

হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

র‌্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it