আওয়ামী লীগ
হেফাজতের তাণ্ডবের সব ঘটনায় বিএনপি জড়িত: কাদের
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের সব ঘটনায় বিএনপি জড়িত ছিল। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক দানবের প্রকাশ্য পৃষ্ঠপোষক দল হচ্ছে বিএনপি।
আজ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত অসহায়, কর্মহীন মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত এ সব কথা বলেন তিনি।
সরকার নাকি দেশকে নরকপুরীতে পরিণত করেছে? বিএনপি মহাসচিবের এমন বিবৃতির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, জনগণ মনে করে বিএনপির উসকানিতে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী গত ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে নরকপুরী বানিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে বলেন, সরকার নয়; আন্দোলনের নামে প্রকাশ্যে ও গোপনে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসই বর্বরতার নামান্তর।
জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে বিএনপিই এখন বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ২০০১ সালে নির্বাচনের পর যেমনি বর্বরতা চালিয়েছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর; তেমনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপরও।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকে আস্থা অর্জন করা একমাত্র রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, তাই চলমান করোনা সংকটেও সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সারা দেশের অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতাকর্মীরা শুধু সুরক্ষাসামগ্রী নয়, নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা নিয়েও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
লকডাউনের কারণে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, সেসব অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষ, ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের সহায়তা করার জন্য দলের নেতাকর্মী ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
করোনাকে পরাজিত না করা পর্যন্ত দুস্থ, অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ চলমান রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে- প্রথমটি হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে জীবিকার জন্য খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সারাদেশে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ সেবা দিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দলের কর্মী হিসেবে নয়, দেশের কর্মী হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান। করোনা ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
শুভ মাহফুজ
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/