ফুটবল
ম্যানচেস্টার সিটির রেকর্ড শিরোপা জয়
ইংলিশ লিগ কাপের ফাইনালে টটেনহাম হটস্পার্সকে ১-০ গোল ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড শিরোপা জয় ম্যানচেস্টার সিটির। গোটা ম্যাচ জুড়েই স্পার্সের ওপর ছড়িয়ে ঘুরিয়ে, কাঙ্খিত গোলের দেখা পেতে সিটিজেনদের অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত। গোল করেন এমেরিক লাপোর্ত। তার একমাত্র গোলেই টানা চতুর্থবারের মতো লিগ কাপের শিরোপা জিতল সিটি। এর আগে টানা চারবার লিগ কাপের জয়ের রেকর্ড ছিল কেবল লিভারপুলের। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত টানা চারবার এই শিরোপা ঘরে তুলেছিল অল রেডসরা। আর এই নিয়ে লিভারপুলের সমান সর্বোচ্চ সংখ্যক আটবার লিগ কাপ ঘরে তোলার রেকর্ডও গড়ল ম্যানচেস্টার সিটি।
রোববার (২৫ এপ্রিল) লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে রেখে গোছাল আক্রমণে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। সপ্তাহখানেক আগে হোসে মোরিনহোকে কোচের পদ থেকে বহিষ্কার করা স্পার্স যেন পাত্তায় দিচ্ছিল না সিটিকে। সাত মিনিটের মাথায় সিটিজেনরা এগিয়ে যেতে পারত। ফিল ফোডেনের লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে এগুতে পারেনি তারা। এরপর ৩০তম মিনিটে ভালো পজিশনে বল পেয়ে গোলের বাইরে শট নেন রাহিম স্টার্লিং। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে সুযোগ পান রিয়াদ মাহরেজও। ডি বক্সে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে এসে মাহারেজের জোরালো শট রুখে দেন স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লরিস।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে স্পার্স। বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যেতে পারত স্পার্স তবে সিটিজেন গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় জিওভানি লো সেলসোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ম্যাচের ৫৫মিনিটে আরও একবার গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন স্টার্লিং। শেষমেষ ম্যাচের ৮২ মিনিটে সিটিজেনদের জয়সূচক গোলটি করেন ডিফেন্ডার লাপোর্ত। বাঁ দিক থেকে কেভিন ডে ব্রুইনের ফ্রি কিকে লাফিয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। তাতেই উল্লাসে মাতে সিটি।
এদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়েরও দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওলার দল। শেষ পাঁচ রাউন্ডে দুটি জয় পেলেই প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধার করবে সিটি। আগামী বুধবার (২৮ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজি।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//