দক্ষিণ আমেরিকা
সংকট পেরিয়ে সম্ভাবনাময় আগামীর পথে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র; বাইডেন
সামগ্রিক সংকট কাটিয়ে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের পথে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে সরকারের ১শ’ দিন পূরণ উপলক্ষে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব অ্যামেরিকা জানায়, কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে রাখা প্রথম ভাষণে বলেন, আজ রাতে আমাদের সংকট ও সুযোগ, দেশের পুনর্নির্মাণ, গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ বিজয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরুতে কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকে করোনাভাইরাস মহামারি, মহামারির ফলে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক সংকট এবং জানুয়ারিতে তাঁর শপথ নেওয়ার কয়েকদিন আগে মার্কিন ক্যাপিটলে নৃশংস হামলার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ভাষণে।
এ সময় মার্কিনীদের করোনার টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাইডেন বলেন, এখন টিকা নিতে পারে ১৬ বছর বা তার ঊর্ধ্বে বয়সীরা। আরও বলেন, আজ রাতে আমি এ কথা বলতে পারি আপনাদের। মার্কিনীদের জন্যই গেল ১০০ দিনে ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য মহামারির বিরুদ্ধে আমরা অগ্রগতি করতে পেরেছি।
সরকারের ১০০ দিনের সাফল্যগাঁথা তুলে ধরে বাইডেন বলেন, তাঁর আমলে ১৩ লাখের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে জিডিপির হার ৬ শতাংশের বেশি। শিগগিরই অস্ত্র আইন, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুলিশি কাঠামোয় সংস্কার আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের শিশু এবং পরিবারদের জন্য সরকারের জাতীয় সহযোগিতা কর্মসূচির ব্যাপক সম্প্রসারণের প্রস্তাবও জানান বাইডেন।
১৯৬০ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়নে চার ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে দুই বছরের জন্য সরকারের ব্যয়ে কিন্ডারগার্টেন পূর্ব পর্যায়ের শিক্ষা এবং তরুণদের জন্য দুই বছরের বিনা বেতনে কমিউনিটি কলেজে শিক্ষার ব্যবস্থা করা। এর অনেকখানি আসবে দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির করের অর্থ দিয়ে। এছাড়া বাইডেনের প্রস্তাবে রয়েছে পরিবারগুলোর জন্য সাড়ে ২২ হাজার কোটি ডলারের শিশু পরিচর্যার সহায়তা প্রস্তাব। এর মাধ্যমে অভিভাবকদের প্রতি মাসে অন্তত আড়াইশ ডলার করে দেওয়া হবে।
ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন, রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক-কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টিও বিস্তারিত তুলে ধরেন বাইডেন। মিত্রদের সঙ্গে বেশি কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চলতি মাসেই ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করা।
কংগ্রেসে করোনা শিষ্টাচার মানতে নেওয়া হয় সব ধরনের পদক্ষেপ। দেশব্যাপী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত প্রেসিডেন্টের এই ভাষণ প্রতিনিধি পরিষদে সরাসরি শোনেন প্রায় ২শ’ জন আইনপ্রণেতা। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে অর্ধেকের বেশি আসন ছিলো ফাঁকা। অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যোগ দেয় আইনপ্রণেতারা।
এসএন
দক্ষিণ আমেরিকা
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।
দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।
নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।
ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।
বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।
জেএইচ