ফুটবল
গ্রানাডা ধাক্কায় ‘ডুবে গেলো’ বার্সার শিরোপাস্বপ্ন!
গ্রানাডাকে হারালেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠার সুযোগ ছিলো বার্সেলোনার। সেই লক্ষ্যে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও শেষ দিকে ১৬ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার বল জালে জড়িয়ে বার্সার শীর্ষস্থান দখলের স্বপ্নকে ‘অপূর্ণ স্বপ্নই’ বানিয়ে দিলো গ্রানাডা।
যদিও ম্যাচের শুরুটা এমন হবে দেখে মনেই হয়নি। ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে হওয়া এই ম্যাচে গ্রানাডার রক্ষণে একের পর এক আক্রমন শানিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে কাতালানরা।
গোলের দেখা পেতে কাতালানদের ২০ মিনিটেরও বেশি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে লিওনেল মেসির করা গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডি বক্সের বাম দিক থেকে গ্রীজম্যানের বাড়ানো বল একটু সামনে এগিয়ে নিয়ে দুরূহ কোন থেকে জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মাতেন এই ক্ষুদে জাদুকর।
প্রথমার্ধে বার্সার সামনে আরো অনেক সুযোগই আসে। কিন্ত ফরওয়ার্ডদের ব্যর্থতায় ব্যবধান বাড়ানো হয়নি ব্লগ্রানাদের। প্রথমার্ধের শেষে মেসির করা গোলেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় গ্রানাডা। ৬২তম মিনিটে ম্যাচিস গোল করে খেলায় সমতা ফেরান। এই গোলের দায় এড়াতে পারেন না বার্সার রক্ষণভাগের তারকা মিনগুয়েজা। তার পা থেকে বল ফসকে না গেলে হয়তো পুরো খেলার ফলই অন্যরকম হতে পারতো।
সমতায় ফিরে বার্সার উপর আরও চড়াও হয় গ্রানাডা। তার ফল ৭৮তম মিনিটে একেবারেই ফ্রি হেডারে টার স্টেগানকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে বুনো উল্লাসে মাতেন মোলিনা।
বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও জালের দেখা পায়নি বার্সা। যার ফলে শীর্ষে উঠার সুযোগ থাকলেও তা হেলায় হারিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
বার্সার এই পরাজয়ে এখন পর্যন্ত হওয়া ৩৩ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখলো অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা দুই দলেরই সংগ্রহ ৭১ পয়েন্ট।
এখনও অবশ্য বার্সার শিরোপাস্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি। অবশিষ্ট থাকা ৫ ম্যাচের সবগুলো জিতলে কোনরকম সমীকরণ মেলানো ছাড়ায় লা লিগার শিরোপা ঘরে তুলবে কাতালানরা। কিন্ত সে পথ পাড়ি দিতে পারবে তো বার্সা? কেননা পথটা যে বন্ধুর!
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//