দক্ষিণ আমেরিকা
হোয়াইট হাউসের কাছে রহস্যজনক এনার্জি অ্যাটাক!
দুটি রহস্যজনক ও অদৃশ্য হামলার ঘটনা তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর একটি হলো গেল নভেম্বরে হোয়াইট হাউসের কাছে রহস্যজনক এনার্জি অ্যাটাক। যা বিচলিত করে তুলেছে মার্কিন তদন্ত সংস্থাগুলোকে।
মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএন জানায়, গেল নভেম্বরে হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ দিকে ওভাল লনের পাশে অজানা লক্ষণ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন সদস্য। ২০১৯ সালে ভার্জিনিয়ায় একই রকম আরেকটি ঘটনা দেখা যায়। ওই ঘটনাও হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়। ভার্জিনিয়ার শহরতলিতে ওই কর্মকর্তা হাঁটার সময় তার কুকুরের মধ্যে অদৃশ্য লক্ষণ দেখতে পান ও কুকুরটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
দুটি ঘটনা তদন্ত করে দেখা যাচ্ছে, অতীতে আরো কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। তদন্ত সংস্থাগুলো মনে করছে, আগেও এ লক্ষণ দেখা গেছে বিভিন্ন দেশের মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মী ও তাদের পরিবার-পরিজনের শরীরে।
২০১৬ সালে সর্বপ্রথম কিউবার হাভানায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। হঠাৎ করে দূতাবাসের কর্মীদের কানে ব্যথা, তীব্র আওয়াজ শোনা, উচ্চ মাত্রার কম্পন, মাথা ধরা, চোখে কম দেখা, বুদ্ধি লোপ পাওয়া এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
পরবর্তীতে ক্রমেই একই ধরনের লক্ষণ দেখা যায় বিভিন্ন দেশে মার্কিন দূতাবাসের কূটনীতিক, কর্মী ও পরিবারের মধ্যে। এর মধ্যে একই রকম সমস্যায় পড়েছে রাশিয়া ও চীনের মার্কিন দূতবাস কর্মকর্তাও। রোগটিকে হাভানা সিনড্রোম নামে অবহিত করা হয়েছে।
ওই সময় মার্কিন সরকারের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিলো, ঘন ঘন পরিচালিত বেতার তরঙ্গের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাস কূটনীতিক, কর্মী ও পরিবারের অজ্ঞাত রোগ হাভানা সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে। ঘন ঘন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির ব্যবহার, দূতাবাস কর্মীদের বিরল রোগের সম্ভাব্য কারণ।
তবে এখন এর ভেতর আরো জটিল রহস্য লুকিয়ে আছে বলে মনে করছে মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তারা। রহস্যজনক এই হামলা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে মার্কিন সংস্থাগুলো।
এ ধরনের অদৃশ্য শক্তি আক্রমণের পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা। এর পেছনে চীনও জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সাবেক এক কর্মকর্তা। এই রহস্যের জট খোলার কথা বলছে মার্কিন গোয়েন্দারা।
এসএন
দক্ষিণ আমেরিকা
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।
দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।
নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।
ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।
বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।
জেএইচ