এশিয়া
দারিদ্রের মুখে পড়বে মিয়ানমারের প্রায় অর্ধেক মানুষ: জাতিসংঘ
আগামী বছরের মধ্যে মিয়ানমারের প্রায় অর্ধেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান পরবর্তী চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও করোনাভাইরাসের কারণে ভেঙে পড়তে পারে অর্থনীতি। এর জেরে দেশটির জনগণকে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়তে হতে পারে বলে শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি বলেছে, ২০২২ সালের শুরুর দিকেই মিয়ানমারের প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে যেতে পারে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।
প্রতিবেদনে ইউএনডিপি জানিয়েছে, গেল বছরের শেষে করোনা মহামারির কারণে মিয়ানমারের ৮৩ শতাংশ পরিবারের আয় নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১১ শতাংশ। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে দারিদ্র্যের হার আগামী বছর বেড়ে যেতে পারে আরো ১২ শতাংশ। দেশটির চরম সংকটকালে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। চলতি বছরের মধ্যে দারিদ্র্যের কবলে পড়বে দেশটির অর্ধেক শিশু। এছাড়াও দারিদ্র্যের প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে বাস্তুচ্যুতরাও। দারিদ্র্য তিন গুণ বাড়তে পারে শহরাঞ্চলে।
এক বিবৃতিতে ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার বলেন, ২০০৫ সালের পর থেকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে অনেকটা সফল হয়েছিল মিয়ানমার। দেশটি দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা নামিয়ে এনেছিল প্রায় অর্ধেকে। তবে সেই অর্জনের পথে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে দেশটির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় না হলে দারিদ্র্যের দিকে আবারো ফিরে যাবে দেশটি।
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে গেল এক ফেব্রুয়ারি। রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চিসহ বেসামরিক সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আটক করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে প্রায় তিন মাস ধরে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে মিয়ানমারে। বিক্ষোভকারীদের দাবি সুষ্পষ্ট, সেনাশাসন প্রত্যাহার ও সু চির মুক্তি। বিক্ষোভ দমনে চরম শক্তি প্রয়োগ করেছে দেশটির জান্তা সরকার। এখন পর্যন্ত জান্তা সেনা-পুলিশের গুলিতে ৭৫০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষের নিহতের তথ্য দিয়েছে অধিকার সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স-এএপিপি।
মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনের নামে গুলি-হত্যায় দীর্ঘমেয়াদি রক্তপাতের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আগেই সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। দেশটির সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে। ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের নিয়ে ছায়া সরকার গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে অনেক বেসামরিক নাগরিক। সব মিলিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে মিয়ানমারের মানুষ। এর মধ্যেই দেশটির প্রায় অর্ধেক মানুষের দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার আশঙ্কা জানাল জাতিসংঘ।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/