অপরাধ
শিশু চুরি করে, চেহারা বিকৃতি করেতন ভিক্ষাবৃত্তির জন্য
ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহারের জন্য শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে কোলে তুলে নিয়ে উধাও হয়ে যান শিশু চোর চক্র। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটে রাজধানী ঢাকার বংশাল এলাকায়। ওই ঘটনা তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
মানুষের ফেলে দেয়া জিনিসপত্র আর কাগজ কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন সুমা। প্রতিদিনের মতো গত ২৫ এপ্রিলও দুই বছরের সন্তান রাশিদাকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু সেদিন কাগজ কুড়ানোর ফাঁকেই সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন এই মা।
চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যান নীলা বেগম (৩০) নামের এক নারী। তিনি মূলত শিশু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার সঙ্গে রয়েছেন আরও কয়েকজন। তারা পরিকল্পিতভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু অপহরণ করে থাকেন।
সম্প্রতি যে শিশুটিকে অপহরণ করে তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন, সেই শিশুটিকে মারধর করে বিভিন্ন কৌশলে চেহারা বিকৃত করে দেন তারা। তাদের উদ্দেশ্যে হলো: শিশুটিকে ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করবেন।
শনিবার (১ মে) রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কদমতলী এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার এবং ওই ২ জনকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীর বংশাল থানা পুলিশ। পরে তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বংশাল থানা পুলিশ জানায়, গত ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে কাগজ ও ভাঙ্গারি কুড়ানোর জন্য বংশালে যান সুমা ও তার মেয়ে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুরাতন বংশাল রোডের মাথায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে কাগজ সংগ্রহ করছিলেন সুমা। কিছুক্ষণ পরে দেখতে পান তার মেয়ে আর সেখানে নেই, কোথায় যেনো উধাও হয়ে গেছে!
আশে-পাশে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে বংশাল থানায় একটি নিখোঁজ জিডি (নং-১১৬১) করেন তিনি। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে শিশু রাশিদাকে খুঁজে পেতে ৪ সদস্যের টিম গঠন করে পুলিশ। তদন্তে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্ত করা হয়।
এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে শনিবার (০১ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কদমতলীর শহিদনগর এলাকা থেকে শিশু রাশিদাকে উদ্ধার এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শেখ সোহান
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ