ফুটবল
মেসির জাদুকরী দুই গোলে জয়ে ফিরলো বার্সা
ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে খেলতে নামলেই যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলে বার্সেলোনা। এবারও মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে সেই মেস্টায়ায় খেই হারাচ্ছিলো কাতালানরা। কিন্তু সেখানে ত্রাতা হয়ে আসলেন মেসি, করলেন জোড়া গোল। সেই সাথে দলকে এনে দিলেন মূল্যবান তিন পয়েন্ট।
গতরাতের ম্যাচে পয়েন্ট হারালে শিরোপার আশা আক্ষরিক অর্থে শেষ হয়ে যেতো বার্সেলোনার। এমন সমীকরণের ম্যাচে বার্সেলোনার শুরুটা হতো পারতো দারুন। কিন্তু ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ছোট পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন মিডফিল্ডার পেদ্রি।
ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা ভালেন্সিয়া ২৬তম মিনিটে প্রথম টের স্টেগানের পরীক্ষা নেয়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার উরোস রাসিচের নিচু শট টের স্টেগেনকে তেমন ভাবাতে পারেনি। পাঁচ মিনিট পর মেসির ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে ওয়ান-অন-ওয়ানে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন গনসালো গেদেস। কর্নারের বিনিময়ে তা ঠেকিয়ে দেন স্টেগেন। ওই কর্নার থেকেই এগিয়ে যায় ভালেন্সিয়া। কার্লোস সলেরের দূরের পোস্টে নেয়া কর্নারে পেছন থেকে বিনা বাধায় ছুটে হেডে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল পাউলিস্তা।
সাত মিনিট পর এক ঘটনাবহুল গোলে সমতা টানেন মেসি। ভালেন্সিয়ার ডি-বক্সে তাদের ডিফেন্ডার তনি লাতো ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল ঠেকানোয় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বার্সেলোনা অধিনায়কের দুর্বল স্পট কিক অবশ্য ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন সিলেসেন। পরে ফাঁকা বল পেয়ে পেদ্রির নেয়া শট গোললাইনে প্রতিহত হলেও বল ক্লিয়ার হয়নি, পরে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন মেসি।
৬৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। জর্দি আলবার ক্রসে ডি ইয়ংয়ের হেড রুখে দিয়েছিলেন সিলেসেন। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি, ছুটে গিয়ে বিনা বাধায় লক্ষ্যভেদ করেন গ্রিজমান।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে চোখ ধাঁধানো সব ফ্রি কিকে অনেকবার প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন মেসি। ৬৯তম মিনিটে দেখা মেলে তেমনি আরেকটি গোলের। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে তার বাঁকানো শটে বল পোস্টের ভেতরে লেগে জালে জড়ায়।
বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। সেই সাথে টিকিয়ে রাখে নিজেদের শিরোপার আশাও। ৩৪ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছে বার্সেলোনা। সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আছে মাদ্রিদেরই আরেকটা দল অ্যাথলেটিকো।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//