এশিয়া
মিয়ানমারে হুমকির মুখে পর্যটন খাত
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। দেশটির একদিকে যেমন দিগন্তজোড়া বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত রয়েছে, অন্যদিকে আছে ঘন জঙ্গল আর সুউচ্চ পাহাড়রাশি।
তবে সম্প্রতি দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানে আবারো দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এতে দেশটির পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্বে প্রাচীন সব প্যাগোডার জন্যও বিখ্যাত বৌদ্ধপ্রধান দেশটি। পাশাপাশি দেশটিতে রয়েছে চোখজুড়ানো সব হ্রদ। মিয়ানমারের রেইনফরেস্টকে পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ বনের একটি বলা হয়। এসবের টানে ভ্রমণপিপাসুদের শীর্ষস্থানীয় গন্তব্যের তালিকায় উঠে আসে মিয়ানমারের নাম।
তবে স্বাধীনতার তিয়াত্তর বছরেও সামরিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে পারেনি মিয়ানমার। স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা জেনারেল অং সান এর মেয়ে অং সান সু চির হাত ধরে মাত্র ছয় বছরের জন্য গণতন্ত্র এলেও তা স্থায়ী হয়নি। গেল সোমবার নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আবারো ক্ষমতা কেড়ে নেয় সামরিক জান্তা।
দশকের পর দশক স্থায়ী সামরিক শাসনের প্রভাব পড়েছে মিয়ানমারের পর্যটন শিল্পে। আকর্ষণীয় স্থানের জন্য খ্যাতি থাকলেও সামরিক সরকারের নানা বিধিনিষেধে প্রত্যাশিত পর্যায়ে পর্যটক দেশটিতে যায় না।
করোনার থাবায় গেল বছরের শুরু থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত মিয়ানমারেও থমকে যায় পর্যটন ব্যবসা। পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনের মতে, মহামারিকালে এই খাত সংশ্লিষ্ট মোট আট লাখ কর্মীর মধ্যে চাকরিচ্যুত হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ২০১৯ সালে করোনায় পর্যটকের আগমন কমে গেছে ৭৫ শতাংশ।
গেল ডিসেম্বরে করোনার বিধিনিষেধ কিছুটা কমলেও খুব একটা চাঙ্গা করতে পারেনি পর্যটন খাত। এ অবস্থায় সেনা অভ্যুত্থানে উদ্ভুত পরিস্থিতি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কতোটা সহায়ক হবে তাই এখন দেখার বিষয়।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/