বাংলাদেশ
বিধানসভা নির্বাচনে তারকাদের জয়জয়কার, ভরাডুবিও কম নয়
বিধানসভা নির্বাচনে চমক দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থীরা। এবারের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে ১২ জন তারকাকে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলাফলে তাদের মধ্যে ৯ জনই জয় পেয়েছেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপিও ১২ জন তারকাকে প্রার্থী করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জন বাদে বাকিদের ভরাডুবি হয়েছে।
জয় পাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী হলেন নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসু, গায়িকা অদিতি মুন্সি, অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, সোহম চক্রবর্তী, অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র, জুন মালিয়া ও ক্রিকেটার মনোজ তেওয়ারি। এর বিপরীতে বিজেপির দুই জয় পাওয়া তারকার মধ্যে রয়েছেন- হিরণ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল।
তৃণমূলের রাজ চক্রবর্তী বিজেপির চন্দ্রমণি শুক্লাকে হারিয়েছেন ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে। ব্রাত্য বসু দমদম থেকে জিতেছেন বিজেপির বিমলশংকর নন্দকে হারিয়ে। গায়িকা অদিতি মুন্সি রাজারহাট গোপালপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছেন বিজেপির শমিক ভট্টাচার্য্যকে হারিয়ে।
অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বারাসাত থেকে জিতেছেন বিজেপির শংকর চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে। কাঞ্চন মল্লিক উত্তরপাড়া থেকে জয় পেয়েছেন বিজেপির প্রবীর ঘোষালের বিপক্ষে। সোহম চক্রবর্তী চণ্ডীপুর কেন্দ্র থেকে হারিয়েছেন বিজেপির পুলককান্তি গুড়িয়াকে।
অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র বিজেপির তারকা প্রার্থী অঞ্জনা বসুকে হারিয়েছেন সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে। জুন মালিয়া মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে হারিয়েছেন বিজেপির শমিত দাসকে। ক্রিকেটার মনোজ তেওয়ারি জিতেছেন বিজেপির রথীন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে হারিয়ে।
বিজেপির হয়ে খড়গপুর সদর থেকে জিতলেন তারকা প্রার্থী চিত্রনায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে বিজেপির অন্য তারকা প্রার্থীদের প্রায় সবাই হেরেছেন, সেখানে তার এই জয় খানিকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।
এই দলের হয়ে জয় লাভ করেছেন আরেক তারকা প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষকে হারিয়ে জয়ের মালা পরেছেন অগ্নিমিত্রা।
এবারের নির্বাচনে তারকাদের হারের পাল্লাও কম নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া থেকে, সায়নী ঘোষ আসানসোল দক্ষিণ থেকে এবং কৌশানি মুখোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে হেরেছেন। বিজেপির হয়ে রুদ্রনীল ঘোষ 'ভবানীপুর', বাবুল সুপ্রিয় 'টালিগঞ্জ', শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় 'বেহালা পশ্চিম', পায়েল সরকার 'বেহালা পূর্ব', পর্ণো মিত্র 'বরানগর', যশ দাশগুপ্ত 'চণ্ডীতলা', লকেট চট্টোপাধ্যায় 'চুঁচুড়া', তনুশ্রী চক্রবর্তী 'শ্যামপুর', অঞ্জনা বসু 'সোনারপুর দক্ষিণ', পাপিয়া অধিকারী 'উলুবেড়িয়া দক্ষিণ' কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছেন।
এএ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ