খুলনা
খুলনায় ডাকাতের গুলিতে যুবক নিহত
খুলনার তেরখাদা উপজেলা আড়ফাঙ্গাসিয়া এলাকায় দিকে ডাকাত দলের গুলিতে জামাল শেখ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
খুলনার তেরখাদা উপজেলা আড়ফাঙ্গাসিয়া এলাকায় দিকে ডাকাত দলের গুলিতে জামাল শেখ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
জামাল শেখশনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেরখাদা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক মো. নাজমুল আহমেদ।
জামাল শেখ স্থানীয় আড়ফাঙ্গাসিয়া গ্রামের মো. আ. সাত্তার শেখের ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে তেরখাদার আড়ফাঙ্গাসিয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক মো. আব্দুল্লার বাড়িতে ডাকাত দল হানা দেয়। পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে একপর্যায়ে চিৎকার শুরু করেন স্কুলশিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার। ডাকাতদের আক্রমণের আভাস বুঝতে পেরে এগিয়ে আসে এলাকাবাসী। এর মধ্যে নিকট প্রতিবেশী ও আব্দুল্লার খালাতো ভাই জামাল শেখ একজন ডাকাতকে জাপটে ধরেন। পরে অন্য দস্যুরা জামাল শেখকে গুলি করে। এতে লুটে পড়েন জামাল শেখ।
একপর্যায়ে এলাকায় ব্যাপক হইচই শুরু হলে দস্যুদল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা জামাল শেখকে উদ্ধার করে প্রথমে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর আজ শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খুমেক হাসপাতালেই জামাল শেখের মৃত্যু হয়।
উপপরিদর্শক মো. নাজমুল আহমেদ জানান, তেরখাদার আড়ফাঙ্গাসিয়া এলাকায় দস্যুদের গুলিতে একজন রক্তাক্ত জখম হয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ কেউ করেননি।
শেখ সোহান
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//