ফুটবল
বার্সা-অ্যাথলেটিকোর ড্রয়ে শিরোপার কাছে রিয়াল
স্প্যানিশ লা লিগার মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লিগ লিডার অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সাথে গোলশূন্য ড্র করেছে রোনাল্ড কোম্যানের দল। এই ম্যাচে পয়েন্ট হারানোয় লিগ শিরোপা জয়ের আশা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেলো কাতালানদের। অন্যদিকে এই দুই দলের ড্রতে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। পয়েন্ট টেবিলের কথা বিবেচনায় নিজেদের বাকি ৪ ম্যাচ জিততে পারলেই লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে জিদানের শিষ্যরা।
গতরাতের ম্যাচে জয়লাভ করলেই শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিলো বার্সেলোনার। ঘরের মাঠে অবশ্য প্রথম দিকে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি মেসিরা। বরং স্টেগানের বীরত্বে গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের প্রথম সুযোগ আসে উনবিংশ মিনিটে। মারিও এরমোসোর ক্রস ডি-বক্সে খুঁজে পায় আনহেল কোররেয়াকে। তবে আর্জেন্টান ফরোয়ার্ডের শট দারুণ স্লাইডিং চ্যালেঞ্জে কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন ফরাসী ডিফেন্ডার ক্লেমেন্টে লেংলেট। বিরতির আগের ১৫ মিনিটে আক্রমণ বাড়ায় সফরকারীরা। ৩৪তম মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দারুণ দুটি সুযোগ তৈরি করলেও মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগানের দেয়াল ভাঙতে পারেনি দলটি।
৪১তম মিনিটে মেসির জাদুকরী ফুটবলে প্রথম সুযোগ পায় বার্সেলোনা। কিন্তু মেসির ট্রেডমার্ক শট অসাধারণ নৈপুণ্যে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে আঙুল ছুঁয়ে জাল অক্ষত রাখেন ইয়ান ওবলাক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দূর থেকে ভীতি ছড়াতে থাকেন সুয়ারেজ। যদিও তার জোরালো হাফভলি পোস্টের বেশ বাইরে দিয়ে যায়। পরের ১৫ মিনিটে ধীরে ধীরে চাপ বাড়াতে থাকে বার্সেলোনা।
৭১তম মিনিটে জর্দি আলবার ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান রোনালদো আরাহো। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। বার্সেলোনা আক্রমণের ধার বাড়াতে দেস্তকে বসিয়ে উসমান ডেম্বেলেকে নামায়। ৮৫তম মিনিটে তার হাত হাত ধরেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা। তবে ডেম্বেলের নেয়া হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
শেষ দিকে পাওয়া ফ্রি কিক মেসি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে আর জয় পাওয়া হয়নি বার্সেলোনার। এই ড্রয়ে বার্সা-অ্যাথলেটিকোর চেয়ে বলতে গেলে লাভবান হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এখন তাদের বাকি থাকা ৪ ম্যাচে জিতলেই লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে লস ব্ল্যাংকসরা।
৩৫ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে এসেছে বার্সা। এক ম্যাচ কম খেলে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//