Connect with us

আফ্রিকা

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় সাত পুলিশ নিহত

Published

on

নাইজেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বন্দুকধারীদের ধারাবাহিক হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত সাতজন পুলিশ কর্মকর্তা। হামলাকারীদের মধ্যে দুই জনকে হত্যা করেছে পুলিশ। শুক্রবার তেলসমৃদ্ধ একটি রাজ্যে সারারাত এসব হামলার ঘটনা ঘটে। তবে হামলায় দায়ীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, নাইজেরিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যের একটি চৌকিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। পরে পুলিশ স্টেশনে কয়েকজন কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে তারা। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা রয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তবে অঞ্চলটিতে পুলিশের উপর বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলা বেড়ে গেছে।

রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র নামদি ওমনি জানিয়েছেন, টয়োটা হিলাক্স ভ্যান চালিয়ে চোবা ব্রিজের কাছাকাছি আসে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। অতর্কিতভাবে সেখানকার চেকপোস্টে গুলি ছুঁড়তে থাকে তারা। চেকপয়েন্টে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করার পর রুমুজি থানায় আরও দুইজন অফিসারকে হত্যা এবং একটি টহল গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।

এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়। অন্যরা পালিয়ে কাছাকাছি অ্যালিম্ববু পুলিশ স্টেশনে হামলা করে আরও তিন কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

সম্প্রতি নাইজেরিয়ার তেলসমৃদ্ধ একটি রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এর একদিন আগে বৃহস্পতিবার নিকটস্থ আনামব্রা রাজ্যের আরেকটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছিল বন্দুকধারীরা। এতে দুইজন কর্মকর্তা নিহত হয়। তবে স্পষ্টভাবে হামলায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে পারেনি নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী।

Advertisement

এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়। অন্যরা পালিয়ে কাছাকাছি অ্যালিম্ববু পুলিশ স্টেশনে হামলা করে আরও তিন কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

এসব হামলার পেছনে নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ও বিয়াফ্রার আদবাসীদের হাত থাকার অভিযোগ করেছে নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিয়াফ্রা। সেখানে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও রয়েছে।

উত্তর-পূর্বে ইসলামবাদী জঙ্গিবাদ এবং উত্তর-পশ্চিমে দস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে নাইজেরিয়া সরকার। সেখানে গেল পাঁচ মাসে স্কুল থেকে ৭শ’ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে।

 

এসএন

Advertisement
Advertisement

আফ্রিকা

বরখাস্ত হলেন তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী

Published

on

তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী আহমেদ হাচানিকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। বুধবার (৭ আগস্ট)বরখাস্ত হন হাচানি।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়া। তবে বরখাস্তের কোনো কারণ বা ব্যাখ্যা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।

গেলো বছরের আগস্টে হাচানিকে  তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হয়। এর এক বছরের মাথায় তিনি পদ হারালেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট সাইদ সামাজিক বিষয়কমন্ত্রী কামেল মাদ্দৌরিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন এবং তাকে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন ঘিরে তিউনিসিয়া জটিল সময় পার করছে। জনগণের মধ্যে সরকার নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন খাতে জনরোষে রূপ নিতে শুরু করেছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, উত্তর আফ্রিকার উপকূলে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশ তিউনিসিয়া। দেশটি উত্তর আফ্রিকা, আটলান্টিক মহাসাগরের নীল নদের বদ্বীপ এবং ভূমধ্য উপকূলের মধ্যে অবস্থিত।

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আফ্রিকা

মালিতে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা, নিহত ৪০

Published

on

পশ্চিম আফ্রিকার মধ্যাঞ্চল মালিতে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসি বাহিনী। এতে প্রায় ৪০ গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্রোহে জর্জরিত মধ্য মালির একটি গ্রামে অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার মোপ্তি অঞ্চলের ডিজিগুইবোম্বো গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ব্যাঙ্কাসের মেয়র মৌলেয়ে গুইন্দো বলেছেন, সশস্ত্র লোকেরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে লোকজনকে গুলি করতে শুরু করে।

তিনি মৃতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। তবে দুই স্থানীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

Advertisement

‘এটি গণহত্যা ছিল’ উল্লেখ করে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামলার আগে সন্ত্রাসীরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে। সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল… হামলার ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, কিছু লোক পালিয়ে যেতেও সক্ষম হয়। কিন্তু অনেককে হত্যা করা হয়েছে।’

নিহতদের বেশিরভাগই পুরুষ বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

মালির কর্মকর্তারা হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেননি। এছাড়া কোনো গোষ্ঠী এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আফ্রিকা

নাইরোবিতে ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন, নিহত কয়েকজন

Published

on

কেনিয়ায় ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করেছে। এই বিক্ষোভ থেকে দেশটির সংসদ ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধা টপকে দেশের সংসদ ভবনে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হলে পুলিশ গুলি চালায়।

বুধবার (২৬ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সংসদ ভবনের বাইরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এমন পাঁচজন বিক্ষোভকারীর মরদেহ গুণে দেখেছেন রয়টার্সের একজন সাংবাদিক। তবে প্যারামেডিক ভিভিয়ান আচিস্তা বলেছেন, কমপক্ষে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

আরেকজন প্যারামেডিক রিচার্ড এনগুমো বলেছেন, গুলিতে ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি সংসদের বাইরে দুজন আহত বিক্ষোভকারীকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

Advertisement

ডেভিস তাফারি নামে একজন বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, আমরা সংসদ বন্ধ করে দিতে চাই। প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ করা উচিত। আমাদের একটি নতুন সরকার দরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কাঁদনে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে পুলিশ শেষ পর্যন্ত সংসদ ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করতে পেরেছে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ টানেল দিয়ে এমপিদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুধু নাইরোবি নয়, এদিন ট্যাক্স বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য শহর ও নগরেও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি করা হচ্ছে। যদিও আন্দোলন শুরু হয়েছিল ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরোধিতা করে।

আফ্রিকার এই দেশের মানুষজন করোনো মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, ইউক্রেনের যুদ্ধ, টানা দুই বছরের খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে সৃষ্ট বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের এমন অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেই রাজস্ব আয় বাড়াতে আরও প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের করের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

ইতিমধ্যে নতুন এই অর্থ বিলের অনুমোদন দিয়েছে সংসদ। এখন তৃতীয় বারের মতো এটি আবারও সংসদে উঠবে। এই ধাপে পাস হলে তা স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে। কোনো আপত্তি থাকলে তিনি তা সংসদে ফেরত পাঠাতে পারেন। আর আপত্তি না থাকলে তিনি সই করলেই তা আইনে পরিণত হয়ে যাবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it