অপরাধ
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
গুজব রটানোর অভিযোগে আবদুর রহিম ওরফে শেরপুরী (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ। সোমবার (১০ মে) রাতে ওই যুবককে বগুড়া থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ মে) সিটিটিসি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে সহিংস কার্যক্রমে জড়িত ‘হেফাজতে ইসলাম’-এর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ঘটনায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালিয়ে আসছিল একটি রটনাকারী চক্র।
সিটিটিসি জানান, তারা ইউটিউব ও ফেসবুক পেজ থেকে গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাকর্মীদের পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের মনগড়া, আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভীতি প্রদর্শক, মানহানিকর ও ধর্মীয় উসকানিমূলক গুজব ‘হলি টিভি২৪’ ইউটিউবে প্রচার করে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল।
এ ছাড়াও তারা নানা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ রাষ্ট্রবিরোধী ও ধর্মবিরোধী বক্তব্য প্রচার-প্রকাশ করে আসছিল। তদন্তে উঠে আসে, ইউটিউব ভিত্তিক ‘হলি টিভি২৪’ নামে এই চ্যানেলের পরিচালনাকারী মো. রানা মণ্ডল (২৮) ও হাফেজ আবদুর রহিম ওরফে শেরপুরী (৩৫)।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল মো. রানা মণ্ডলকে তার মালিকানাধীন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের ফুটানি বাজারের রানা স্টুডিও থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে এখন জেলে আছে। ‘হলি টিভি২৪’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ছয় শতাধিক মনগড়া ভিডিও পাওয়া যায়। যা সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। রানা মণ্ডল এ রকম আরও একাধিক ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করে।
সিটিটিসি আরও জানায়, ‘রানা স্টুডিও’তে বসে গ্রেফতার হাফেজ আবদুর রহিম এসব বিভ্রান্তিকর, মনগড়া ও উসকানিমূলক ভিডিওগুলো তৈরি করত। পরে তা ইউটিউব ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হতো।
জানা গেছে, আবদুর রহিম দাওরায়ে হাদিস বিষয়ে বগুড়ার দাওয়াতুল হক আদর্শ মাদরাসায় পড়াশোনা করেছে। সে একজন ইমাম ও ওয়াজকারী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে হেফাজতের জ্বালাও-পোড়াও সমর্থন জানিয়ে ও সহিংসতাকারী হেফাজত নেতাদের মুক্তির জন্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে রানা মণ্ডলের সহযোগিতায় ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্রবাদী ও অসত্য ভিডিও বানিয়ে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে।
এস
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ