অপরাধ
করোনায় মারা গেছেন ২৪ নার্স, আক্রান্ত ২ হাজার ৮০০
প্রাণঘাতী অতিমারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সেবা দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮০০ নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৪ জন। এ অবস্থায় দেশে তীব্র নার্স সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে নার্সদের পেশাজীবী সংগঠন সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস।
বুধবার (১২ মে) আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস উপলক্ষে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির মাহমুদ তিহান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার একক ও সর্ববৃহৎ পেশা নার্স। দেশে দক্ষ নার্সের গুরুত্ব অপরিহার্য। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশে ২৪ জন নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ছাড়া ২ হাজার ৮০০ নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে তীব্র নার্স সংকট থাকায় অসুস্থ রোগীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন রেজিস্টার্ড নার্স প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসকের তুলনায় নার্সের সংখ্যা কম। করোনার তৃতীয় ও চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে দেশের স্বাস্থ্য খাতে নার্স সংকট সমাধানে সরকারিভাবে নার্স নিয়োগের জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়াও নার্সদের বিদ্যমান সব সমস্যা সমাধানে সরকারকে জরুরি উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, মহামারি করোনাকালে নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরাসরি আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৪ নার্সের মৃত্যু এবং বিপুলসংখ্যক নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও তারা দায়িত্ব থেকে পিছপা হননি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার সারা দেশের হাসপাতালে প্রণোদনার ১৩ হাজার ৪৭২ জন নার্সের তালিকা তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে ২২টি হাসপাতালের ২ হাজার ৫৭২ জন প্রণোদনা পেয়েছেন। অন্যদেরটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে পৃথিবীর সব দেশে দিনটি পালন করা হয়। আধুনিক নার্সিং সেবার সূচনা করেছিলেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। এবারের আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নার্সেস; এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য খাতে একটি দর্শন।’
এএ
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ