ময়মনসিংহ
ছাত্রলীগের পদে থাকাবস্থায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে বিয়ে
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের পদে থাকাবস্থায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহামম্মদ রুবেল।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের পদে থাকাবস্থায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহামম্মদ রুবেল।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা হাফছা জাহান হিয়ার সঙ্গে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি সেন্টারে কৃষিবিদ হাফছা জানান, বিবাহ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ছাড়াও ময়মনসিংহের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কমিউনিটি সেন্টার সূত্রে জানা যায়, বিবাহ অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিকের অধিক অতিথিকে অ্যাপায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের বিয়েতে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ছিল অন্য রকম আনন্দ। নেতার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েই উপস্থিত ছিলেন তারাও। বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে এ যুগলের সঙ্গে স্মৃতি হয়ে থাকার ছবি তুলেছেন প্রায় সবাই। পবিত্র সম্পর্কে জড়ানোর জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন সবাই। এদের অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেগুলো পোস্টও করেছেন। সেখানে রয়েছে এ যুগলের দাম্পত্য জীবনের জন্য শুভ কামনা।
তবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে এ রকম কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুবেল বলেন, তিনি কেন্দ্রীয় শাখা ছাত্রলীগকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ফোন ও বার্তা পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা ফোন ধরেননি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়, যেখানে সবুজ কাজী সভাপতি এবং মিয়া মোহাম্মদ রুবেল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন।
শেখ সোহান
ময়মনসিংহ
বন্ধুদের নিয়ে নববধূকে ধর্ষণ,স্বামীসহ গ্রেপ্তার ২
টাঙ্গাইলে স্বামীর সহযোগিতায় বাসর রাতে বন্ধুদের নিয়ে নববধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল বাছেদ (২৫) ও বন্ধু জহুরুল ইসলামকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর বন্ধুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) অভিযুক্ত দু আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিয়ে করে ওই নববধূকে নিজের বাড়িতে তোলেন আব্দুল বাছেদ। বাসর রাতে প্রবেশের পর বাছেদের সহযোগিতায় তার দুই বন্ধু কৌশলে ভুক্তভোগী নববধূকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা পাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানান।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গেলো ২৭ জুলাই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় গ্রেপাত দুই আসামিসহ বর্তময়ানে পলাতক রবিন মিয়াকে (২৬) আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার বন্ধুকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় নববধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আই/এ
জনদুর্ভোগ
বন্যার পানিতে গোসলে নেমে ৪ জনের মৃত্যু
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুচর এলাকায় বন্যার পানিতে গোসল করতে নেমে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে লোকজন গিয়ে দেখেন মরদেহ পানিতে ভেসে উঠেছে। এ সময় বেঁচে ফেরেন মারিয়া (১২) নামের এক শিশু।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। মেলান্দহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- দক্ষিণ বালুচর এলাকার দিশা আক্তার (১৭), সাদিয়া (১০), খাদিজা (১০) ও রোকশানা (২৫)।
স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে দক্ষিণ বালুচর এলাকার পাশাপাশি বাড়ির তিন শিশু, এক কিশোরী ও এক গৃহবধূ ফসলি জমিতে বন্যার পানিতে গোসল করতে যান। গোসল করার একপর্যায়ে হঠাৎ করেই চারজন পানিতে তলিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় দূরে থাকা এক কিশোরী তাদের তলিয়ে যাওয়া দেখে দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর দেন।
স্থানীয়দের বরাতে (ওসি) রাজু বলেন, এলাকার লোকজন বলছেন, অল্প পানিতেই সবাই গোসল করতে গিয়েছিল। এই পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনাতে সবাই হতবাক। এর মধ্যে আগামী শুক্রবার দিশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ আলী বলেন, দুপুরে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এএম/
ময়মনসিংহ
বন্যায় টাঙ্গাইলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও, কিছু এলাকায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় অনেক নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এর ফলে প্রায় ছয়টি উপজেলার ১১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই)টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, বন্যার পানিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার ৬৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে রয়েছে। তবে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় নতুন এলাকার ফসলি জমি বন্যাকবলিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, জেলার ভূঞাপুর, নাগরপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, বাসাইল উপজেলার ৪৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ছাড়া যমুনাসহ তিনটি নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষদের দুর্ভোগ কমেনি। বর্তমানে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গোখাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ বছর বন্যায় যেসকল মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।
জেড/এস