আওয়ামী লীগ
ব্লেম গেম থেকে বিরত থাকা সবার দায়িত্ব: কাদের
ঈদকে সামনে রেখে করোনাকালীন এই সংকটে রাজনৈতিক ব্লেম গেম থেকে বিরত থাকা সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এসময় বলেন, বিএনপি মহাসচিব সরকারের সমালোচনার নামে এমন সব বিষয়ে অবতারণা করেন, যার জবাব আওয়ামী লীগকে দিতে হয়; যদিও আমরা যা জানতে চাই, তার জবাব তাদের কাছে পাই না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিবস নিয়ে জাতির কাছে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার সঠিক জবাব বিএনপির পক্ষ থেকে আজও পাওয়া যায়নি। বেগম জিয়া এখন অসুস্থ তাই ১৫ আগস্টের মতো নৃশংস হত্যা দিবসে তার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন, এটাই মানুষ আশা করেছিল। বিএনপি মহাসচিব তা না করে প্রতিদিনই এক একটা বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার নয়, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বিএনপি। যেমনটি তারা ২০০১ সালে করেছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষে ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল বিএনপি সরকার। ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীর রক্তে দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় বানিয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন গুম, হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের রূপান্তর করেছিল তারা।
বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে তিনি আরও বলেন, মাহিমা, রহিমা, পূর্ণিমাসহ শত শত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল তা কি ভুলে গেছে বিএনপি? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন একাত্তরের পাক-হানাদারের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কলঙ্কিত ইতিহাস আর বিকৃত অবয়ব ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবেন না আয়নায়।
দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত যে ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়েছিল তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপি জড়িত ছিল বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এর আগেও ভাস্কর্য ইস্যুতেও দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ত্রাস সৃষ্টিতে হেফাজতকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছিল বিএনপি।
দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যত প্রয়াস তার সবগুলোর সঙ্গেই বিএনপি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে এসব কথা শুনলে হাসি পায়।
শেখ সোহান
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/