আইন-বিচার
রাস্তায় চলাচলে ডিএমপির ৮ নিরাপত্তামূলক পরামর্শ
রাজধানীতে বসবাস করতে হলে কাজের কারণে বা বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে একস্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে হয়। রাস্তায় চলতে গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পরে বা সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ কেউ গুরুতর আহত হচ্ছেন। কখনো বা হারাতে হচ্ছে মূল্যবান প্রাণও। তাই নিজেদের প্রাণ রক্ষার্থে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করলেই হবে না। একই সঙ্গে প্রয়োজন নিজেদের সচেতনতাও।
রাজধানীতে ভ্রমণকালে নিজেকে অক্ষত ও নিরাপদ রাখতে সতর্কতার সঙ্গে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি আপনার নিজের সচেতনতাই পারে আপনাকে আসন্ন বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে। মহানগরীকে নিরাপদ রাখতে ডিএমপি সব সময় আপনার পাশেই রয়েছে।
নিরাপদে রাস্তায় চলাচলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর সেই ৮ পরামর্শ হলো-
১। রিকশায় চড়ে কোথাও যাওয়ার সময় কোলে ব্যাগ রাখবেন না। মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে ছিনতাইকারী এসে হ্যাঁচকা টান দিতে পারে। এতে করে আপনি রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। ব্যাগ থাকলে তা দুই যাত্রীর মধ্যখানে রাখবেন, যাত্রী একা থাকলে নিরাপদভাবে ব্যাগ রাখবেন। রিকশায় যাতায়াতের সময় হুড তুলে রাখবেন।
২। অনুমোদিত রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহনে যাতায়াত করুন। অনুমোদনহীন যানবাহনে যাতায়াত পরিহার করুন।
৩। মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেটকারে অচেনা ও অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে চলাচল থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে কোনো গাড়িতে ওঠার আগে গাড়ির নম্বর টুকে রাখুন এবং কাছের কাউকে সেই গাড়ির নম্বর মেসেজ করে রাখুন।
৪। নির্জন রাস্তা বা গলিপথ দিয়ে একাকি চলাচল থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে খুব ভোরে রাস্তায় চলাচল করা এড়িয়ে চলুন। বিশেষ প্রয়োজনে সতর্কতা অবলম্বন করে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করুন।
৫। রাতে আলোকিত পথে চলাচলের চেষ্টা করুন। অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে আলোকিত পথ অধিক নিরাপদ।
৬। শহরে চলাচলের সময় যানবাহনে উঠলে প্যান্টের পেছনের পকেটে ওয়ালেট বা মোবাইল ফোন রাখা নিরাপদ নয়। প্রয়োজনে ওয়ালেটটি সামনের পকেটে রাখুন। মোবাইলটি হাতে রাখতে পারেন। তাহলে ছিনতাইকারীরা সহজে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
৭। থানার মোবাইল নম্বর সর্বদা নিজের মোবাইল ফোনে এবং মানিব্যাগে সংরক্ষণ করুন, যেন প্রয়োজনে দ্রুত পুলিশের সাহায্য পেতে পারেন।
৮। থানার মোবাইল নম্বর না থাকলে ৯৯৯ জরুরি সেবায় ফোন করে প্রয়োজনীয় পুলিশ সেবা নিন।
এএ
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ