দক্ষিণ আমেরিকা
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাইডেনের
অবশেষে গাজায় দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনের জন্য কথা বলল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সংঘাতের অষ্টম দিনের মাথায় এসে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট।
সোমবার (১৭ মে) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে বলেছেন বাইডেন। সেখানে তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন। তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সহিংসতা বন্ধের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রই ভেটো দিয়ে যাচ্ছে।
দুই নেতার কথোপকথনের পরে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ইসরায়েলকে উৎসাহিত করেছে প্রেসিডেন্ট। তাদের মধ্যে হামাসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র যেন পেস্কি সাংবাদিকদের বলেন, 'পর্দার আড়ালে থেকে আমরা কথা বলতে চাই। এটাই এখন সবচেয়ে উত্তম পন্থা।'
সংকট নিরসনে ইসরায়েলকে হামলা বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিবৃতি দিতে চেয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাধায় তৃতীয়বারের মতো সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ফোনালাপের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনিও ব্লিনকেন এক টুইট বার্তায় বলেন, 'ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেজানির সঙ্গে ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীরে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের জীবন বাঁচাতে এ দ্বন্দ্ব থামানোর জন্য আমাদের অবশ্যই একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।'
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই বেসামরিক হতাহত এড়ানো উচিত। তবে হামাস বেসামরিক অবকাঠামো ও ফিলিস্তিনিদের দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলও সহিংসতা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন। আর দ্রুত সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স ও মিশর।
এদিকে বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের আগে দেশটির সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন নেতানিয়াহু। এরপর এক বক্তব্যে তিনি বলেন, 'আমরা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছি।'
দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত। দেশ দুটির মধ্যে চলছে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ। কূটনৈতিকভাবে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও তার কর্ণপাত করছে না কোনো পক্ষই।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী থেকে জানানো হয়েছে, সংকটের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩ হাজার ৩৫০টি রকেট ছুড়েছে হামাস। এর মধ্যে শুধুমাত্র সোমবারই ২০০ রকেট ছোড়া হয়। আর ইসরায়েলের বিমান হামলা ও আর্টিলারি হামলায় ১৩০ জন মারা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২১২ জন। আহত হয়েছে অন্তত ১৫০০। নিহতদের মধ্যে ৬১ জন শিশু ও ৩৬ জন নারী। আর হামাসের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে দুই শিশুসহ ১০ জন মারা গেছে।
এদিকে লেবানন থেকে রকেট হামলার জবাবে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। লেবাননের একটি সুরক্ষা সূত্র আল-জাজিরাকে জানিয়েছে যে, ইসরায়েল লেবাননের দিকে লক্ষ্য করে ২২টি গোলা নিক্ষেপ করেছে।
গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলা যুদ্ধাপরাধের সমান বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনবিষয়ক মুখপাত্র ওমর শাকের। তিনি বলেন, 'গাজা উপত্যকায় আমরা দেখেছি যে, ইসরায়েলি বিমানগুলো বাণিজ্যিক এবং আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছে; যে ভবনগুলোতে শত শত পরিবার রয়েছে।'
এস
দক্ষিণ আমেরিকা
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।
দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।
নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।
ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।
বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।
জেএইচ