জাতীয়
২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার নতুন এডিপি অনুমোদন
পরিবহন যোগাযোগ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল (এনইসি) আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মে) এনইসি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় আগামী অর্থবছরের এডিপির অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ, প্রতিমন্ত্রীগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এনইসি সভাকক্ষ ও সচিবালয় থেকে বৈঠকে যোগদান করেন।ৎ
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, মূল এডিপির বাইরে স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনসমূহের জন্য আরও ১১ হাজার ৪৬৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনসমূহের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ও মূল এডিপির বরাদ্দ মিলে আগামী অর্থবছরের এডিপির মোট আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। মূল এডিপির জন্য বরাদ্দ অর্থের মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং বাকী ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ২৩ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে পাওয়া যাবে।
এছাড়া, স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনসমূহের জন্য বরাদ্দকৃত ১১ হাজার ৪৬৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পাওয়া যাবে ৬ হাজার ৭১৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৭৫১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
আগামী অর্থবছরের মূল এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৪২৬টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ৩০৮ এবং কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের সংখ্যা ১১৮। পাশাপাশি, স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনসমূহের জন্য আরও ৮৯টি প্রকল্প রয়েছে। সবমিলিয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫১৫।
নতুন এডিপিতে ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা পাওয়া যাবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বাকী ১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে।
বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প রয়েছে ৫৯৬টি, বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির জন্য অন্তর্ভূক্ত প্রকল্প ১৪১, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রকল্প ৮৮টি এবং পরবর্তী অর্থবছরের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্ধারিত প্রকল্প হচ্ছে ৩৫৬টি।
মান্নান জানান, সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য গৃহীত যেসব প্রকল্পের কাজ করোনা অতিমারির কারণে শেষ করা সম্ভব হয়নি,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেসব প্রকল্প সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের জন্য গবেষণাখাত বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতের গবেষণায় আলাদা বরাদ্দের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।শেখ হাসিনা আরও বলেন, একেবার প্রয়োজন ছাড়া কোন প্রকল্পে বিদেশী পরামর্শক নিয়োগের দরকার নেই। কেবলমাত্র সেসব উন্নয়ন প্রকল্পে তাদেরকে নিয়ে আসতে হবে যেখানে তাদের দরকার। পাশাপাশি, বিদেশী পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন যথাযথ প্রক্রিয়া পরিপাালন করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী দাবি করেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার অনেক কম।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০টি খাত হচ্ছে; পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৬১ হাজার ৬৩১ কোটি ৪১ লাখ টাকা (২৭ দশমি ক ৩৫ শতাংশ)। দ্বিতীয় অবস্থানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা (২০ দশমিক ৩৬ শতাংশ) এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতে ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা (১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ)।
অন্যান্য খাতের মধ্যে শিক্ষা খাতে ২৩ হাজার ১৭৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ১৭ হাজার ৩০৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৪ হাজার ২৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ খাতে ৮ হাজার ৫২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা, কৃষি খাতে ৭ হাজার ৬৬৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকাৎ, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৪ হাজার ৬৩৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৩ হাজার ৫৮৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০ মন্ত্রণালয় হলো- স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৮ হাজার ৪১ কোটি, বিদ্যুৎ বিভাগে ২৫ হাজার ৩৪৮ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ২০ হাজার ৬৩৩ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১৩ হাজার ৫৫৮ কোটি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ১৩ হাজার কোটি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১১ হাজার ৯১৯ কোটি, সেতু বিভাগে ৯ হাজার ৮১২ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৮ হাজার ২২ কোটি এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, চতুর্থ পিইডিপি কর্মসূচি, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু নির্মাণ, পদ্মা সেতু প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ডিপিডিসির আওতায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন এবং ঢাকা বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ