Connect with us

বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: সাত ভ্যানুর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

Published

on

প্রথম রাউন্ডের খেলা দিয়ে আজ রোববার (১৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে অভিজাত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার তাসমান সাগর অস্ট্রেলিয়ায় বসেছে এ আসর। ১৬টি দলের ৪৫টি ম্যাচের ক্রিকেটীয় যুদ্ধশেষে মাঠে গড়াবে ‘সুপার টুয়েলভ’ তথা মূল পর্বের খেলা। এই আয়োজনে কোথাও ঘাটতি রাখছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। চার-ছক্কার মহারণ দেখতে দেশটিতে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে লাখো ক্রিকেটপ্রেমী। তাদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত সাত ভেন্যুর শহরগুলো। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে একের পর এক আয়োজনে উৎসবের শহর এখন অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার সাতটি শহরে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। নয়নাভিরাম ও অপার সৌন্দর্যমন্ডিত অস্ট্রেলিয়ার মাঠের উইকেটের আচরণ হবে ভিন্ন। চিরাচরিত পেসারদের স্বর্গভূমি আর টেকনিক্যাল দক্ষতাসম্পন্ন ব্যাটারদের সহায়ক হবে অজিদের পিচগুলো। অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, জিলং, হোবার্ট, মেলবোর্ন, পার্থ ও সিডনি হবে এই ৪৫টি ম্যাচ। ৯ ও ১০ নভেম্বর দুটি সেমিফাইনাল হবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও অ্যাডিলেড ওভালে। আর ১৩ নভেম্বর অনুমিতভাবেই ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

চলুন জেনে নেয়া যাক এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো সম্পর্কে :

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড : নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম পুনঃসংস্কারের আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছিল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ও বহু ক্রিকেট ইতিহাসের সাক্ষী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড অস্ট্রেলিয়ার মোলবোর্নের ইয়ারা পার্কে অবস্থিত। এছাড়াও দেশটির সাতটি মাঠের মধ্যে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড হচ্ছে সব থেকে জনপ্রিয় ও বড় ম্যাচ ভেন্যুর একটি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের আঁতুড়ঘরও বলা হয় এ স্টেডিয়ামকে। যেখানে আধুনিক ক্রিকেটের শোভা বর্ধিত হয়।

মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত স্টেডিয়ামটি বিশ্বের একাদশ সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর্শক ধারণ ক্ষমতার ক্রিকেট মাঠ এটি। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১৮৫৩ সালে স্টেডিয়ামটি স্থাপিত হয়। ১ লাখ ২৪ আসনের দর্শক ধারণ ক্ষমতাবিশিষ্ট স্টেডিয়ামটি ১৯৫৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রধান স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৮৫৩ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃপক্ষ এলাকাটিকে ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম ব্যবহার করতে শুরু করে।

Advertisement

স্থানীয়দের কাছে ‘দ্য জি’ নামে পরিচিত গ্রাউন্ডটিতেই ১৮৭৭ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৯৬ বছর পর ১৯৭১ সালে এই মাঠে প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সে ম্যাচেও ইংলিশদের হারিয়ে জয় তুলে নেয় অজিরা। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো এই মাঠে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কার ম্যাচের পর আর কোনও টি-টোয়েন্টি এখন পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি।

বহু ক্রিকেট ইতিহাসের সাক্ষী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ দর্শক খেলা দেখতে আসে। লর্ডসের পর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড হলো বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম, যেখানে একাধিকবার (১৯৯২ এবং ২০১৫) আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াই হবে এই মাঠেই। ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টে ম্যাচটিও রয়েছে। এছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডও মুখোমুখি হবে দ্য জি’তে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আবারও রচিত হবে নতুন ইতিহাস। চ্যাম্পিয়ন দলের শিরোপার সাক্ষী হবে মেলবোর্ন।

পার্থ স্টেডিয়াম, পার্থ : পার্থ স্টেডিয়াম বার্সউড উপকূলে অবস্থিত। ২০১৭ সালের শেষের দিকে এর কাজ সমাপ্ত হয়। ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পার্থ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হয়। বার্সউড উপদ্বীপের স্টেডিয়ামটির পশ্চিমে চোখে পড়বে মনোরম সোয়ান নদী ও পার্থ শহরের দৃশ্য। প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি ধারণ ক্ষমতা স্টেডিয়ামটি অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়া এর পর এ স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতাই বেশি। মাঠটিতে ক্রিকেট ছাড়াও সকার, রাগবি লিগসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা এবং ইউনিয়ন প্লাস কনসার্টের মতো বিনোদনমূলক ইভেন্টের আশ্রয়স্থল।

উদ্বোধনের মাসেই মাঠটিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ওয়ানডে। যেখানে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। একই বছরের ডিসেম্বর প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের আতিথেয়তা গ্রহণ করে ভারত। প্রথম আর একমাত্র টি-টোয়েন্টিটি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটিতে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় অজিরা। বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ গড়াবে এই মাঠে। সবগুলো ম্যাচই হবে গ্রুপ পর্বের।

দ্য গাব্বা, ব্রিসবেন : ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ড অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের রাজধানী ব্রিসবেনে অবস্থিত। প্রায় ৪২ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটি ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কুইন্সল্যান্ডের উপকণ্ঠে ওলুংগাব্বা এলাকার নাম অনুসারে গাব্বা নামেও পরিচিত মাঠটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচ আয়োজনের জন্য ক্রিকেট বিশ্বে এর সুপরিচিতি আছে। ঐতিহ্যগতভাবে অজিরা গ্রীষ্মের প্রথম টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করে এই মাঠে।

Advertisement

দ্য গাব্বা বা ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এতে প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩১ সালে। অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা এই মাঠে প্রথম টেস্ট খেলার প্রায় ৪৮ বছর পর ১৯৭৯ প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও মাঠটির অভিষেক হয় অজি-প্রোটিয়া ম্যাচ দিয়ে।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগদানকারী ভক্তদের জন্য দ্য গাব্বা উষ্ণ ও প্রাণবন্ত পরিবেশ প্রদান করবে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। শক্ত ও বাউন্সিং পিচের জন্য ক্রিকেট বোদ্ধাদের প্রথম পছন্দ এই মাঠ। বিশ্বকাপের মোট চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। ৩০ অক্টোবর প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যদিও এখন পর্যন্ত টাইগারদের প্রতিপক্ষ নিশ্চিত হয়নি।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড : অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড যা সংক্ষেপে এসসিজি নামে পরিচিত। প্রায় ৪৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই মাঠ ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনোদনের ঐতিহ্যের ধারক সিডনির এই মাঠটি। ফুটবল-রাগবির পাশাপাশি ক্রিকেটেরও বহু ইতিহাসের সাক্ষী এসসিজি। এটি সিডনির পূর্ব শহরতলি ও কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলা সংলগ্ন সিডনির সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অবস্থিত।

এসসিজিতে সর্বপ্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮২ সালে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরু করে মাঠটি। এরপর ১৯৭৯ সালে এই দুই দলের ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয় এসসিজিতে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডই। এসসিজি এনএসডব্লিউ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা প্যাডিংটনের ভিক্টোরিয়া ব্যারাকের পেছনে ১৮৫২ সালের সাবেক গ্যারিসন গ্রাউন্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। এর মধ্যে ২৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।

বেলেরিভ ওভাল, হোবার্ট : বেলেরিভ ওভাল অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের হোবার্টের পূর্ব উপকূল তীরবর্তী সিটি অব ক্ল্যারেন্সের বেলেরিভে অবস্থিত। ডারওয়েন্ট নদীর রৌদ্রোজ্জ্বল পূর্ব তীরে মাঠটিতে ১৯১৪ সালে (প্রতিষ্ঠার পরের বছর) বেলেরিভ ওভালে প্রথম আনুষ্ঠানিক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ব্লান্ডস্টোন অ্যারিনা নামেও পরিচিত তাসমানিয়ার একমাত্র মাঠ হিসেবে বর্তমানে এখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাগুলোর আয়োজন করা হয়। দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার হাজারের মতো।

Advertisement

১৯৮৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গড়ায় এই মাঠে। নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার সে ওয়ানডে ম্যাচের প্রায় দেড় বছর পর ১৯৮৯ সালে গড়ায় প্রথম টেস্ট। যেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। আর ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় টি-টোয়েন্টির যাত্রা। আসন্ন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ নয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বেলেরিভ ওভালে। যার মধ্যে গ্রুপ পর্বের ছয়টি এবং সুপার টুয়েলভের তিনটি ম্যাচ রয়েছে। বাংলাদেশ এই ম্যাচেই নিজেদের প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে বিশ্বকাপ মিশন। ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

অ্যাডিলেড ওভাল : অ্যাডিলেড ওভাল অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাংশে অ্যাডিলেড শহরের একটি বিখ্যাত খেলার মাঠ। এটি অ্যাডিলেড শহরের গর্বিত কেন্দ্রবিন্দু। খেলাধুলা, শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ভরপুর একটি স্থান। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অপূর্ব মেলবন্ধনের জন্য এর পৃথিবীজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। অ্যাডিলেড ওভাল ১৮৭১ সালে নির্মিত হয়। স্টেডিয়ামটির সবচেয়ে বড় সংস্কার হয়েছিল ২০১৪ সালে। এখানে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের সম্মানে রয়েছে ব্র্যাডম্যান সংগ্রহ জাদুঘর।

৫০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই মাঠে সর্বপ্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮৪ সালে। ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড। আর প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়ায় ১৯৭৫ সালে। যেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের মতো এই মাঠে টি-টোয়েন্টিতেও প্রথমবার ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতেও হারে অস্ট্রেলিয়া।

অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের মোট সাতটি ম্যাচ গড়াবে এই মাঠে। এর মধ্যে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালও রয়েছে। সুপার টুয়েলভের লড়াইয়ে ২ নভেম্বর ভারতের ও ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

কার্ডিনিয়া পার্ক, জিলং : কার্ডিনিয়া পার্ক স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া স্টেটের জিলং-এ অবস্থিত। ২৬ হাজার দর্শকের মাঠটিতে ক্রিকেটের পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের খেলা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম স্টেডিয়ামগুলোর অন্যতম একটি কার্ডিনিয়া পার্ক। এটি বর্তমানে সাইমন্ডস স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। ১৯৪১ সালে নির্মিত হওয়া স্টেডিয়ামটি সাম্প্রতিক পুনর্বিন্যাস এটিকে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় আঞ্চলিক ভেন্যুগুলোর একটিতে পরিণত করেছে। কার্ডিনিয়া পার্ক প্রিসিনক্টের প্রাণকেন্দ্র এই স্পোর্টস ভেন্যুটি, যেখানে নেটবল ও সুইমিং পুলের ব্যবস্থা রয়েছে।

Advertisement

এই মাঠে এখন পর্যন্ত মাত্র দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৭ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা পুরুষ দল, একই দিন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড নারী দল মুখোমুখি হয়। আসন্ন বিশ্বকাপের মোট ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। উদ্বোধনী ম্যাচসহ প্রথম রাউন্ডের সবগুলো ম্যাচই হবে মাঠে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জাতীয়

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা

Published

on

শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা  ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে  শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ

Published

on

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন

বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”

বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং  জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisement

জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ

Published

on

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।

পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

Advertisement

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it