ক্রিকেট
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: সাত ভ্যানুর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
প্রথম রাউন্ডের খেলা দিয়ে আজ রোববার (১৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে অভিজাত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার তাসমান সাগর অস্ট্রেলিয়ায় বসেছে এ আসর। ১৬টি দলের ৪৫টি ম্যাচের ক্রিকেটীয় যুদ্ধশেষে মাঠে গড়াবে ‘সুপার টুয়েলভ’ তথা মূল পর্বের খেলা। এই আয়োজনে কোথাও ঘাটতি রাখছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। চার-ছক্কার মহারণ দেখতে দেশটিতে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে লাখো ক্রিকেটপ্রেমী। তাদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত সাত ভেন্যুর শহরগুলো। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে একের পর এক আয়োজনে উৎসবের শহর এখন অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার সাতটি শহরে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। নয়নাভিরাম ও অপার সৌন্দর্যমন্ডিত অস্ট্রেলিয়ার মাঠের উইকেটের আচরণ হবে ভিন্ন। চিরাচরিত পেসারদের স্বর্গভূমি আর টেকনিক্যাল দক্ষতাসম্পন্ন ব্যাটারদের সহায়ক হবে অজিদের পিচগুলো। অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, জিলং, হোবার্ট, মেলবোর্ন, পার্থ ও সিডনি হবে এই ৪৫টি ম্যাচ। ৯ ও ১০ নভেম্বর দুটি সেমিফাইনাল হবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও অ্যাডিলেড ওভালে। আর ১৩ নভেম্বর অনুমিতভাবেই ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
চলুন জেনে নেয়া যাক এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো সম্পর্কে :
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড : নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম পুনঃসংস্কারের আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছিল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ও বহু ক্রিকেট ইতিহাসের সাক্ষী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড অস্ট্রেলিয়ার মোলবোর্নের ইয়ারা পার্কে অবস্থিত। এছাড়াও দেশটির সাতটি মাঠের মধ্যে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড হচ্ছে সব থেকে জনপ্রিয় ও বড় ম্যাচ ভেন্যুর একটি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের আঁতুড়ঘরও বলা হয় এ স্টেডিয়ামকে। যেখানে আধুনিক ক্রিকেটের শোভা বর্ধিত হয়।
মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত স্টেডিয়ামটি বিশ্বের একাদশ সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর্শক ধারণ ক্ষমতার ক্রিকেট মাঠ এটি। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১৮৫৩ সালে স্টেডিয়ামটি স্থাপিত হয়। ১ লাখ ২৪ আসনের দর্শক ধারণ ক্ষমতাবিশিষ্ট স্টেডিয়ামটি ১৯৫৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রধান স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৮৫৩ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃপক্ষ এলাকাটিকে ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম ব্যবহার করতে শুরু করে।
স্থানীয়দের কাছে ‘দ্য জি’ নামে পরিচিত গ্রাউন্ডটিতেই ১৮৭৭ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৯৬ বছর পর ১৯৭১ সালে এই মাঠে প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সে ম্যাচেও ইংলিশদের হারিয়ে জয় তুলে নেয় অজিরা। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো এই মাঠে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কার ম্যাচের পর আর কোনও টি-টোয়েন্টি এখন পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি।
বহু ক্রিকেট ইতিহাসের সাক্ষী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ দর্শক খেলা দেখতে আসে। লর্ডসের পর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড হলো বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম, যেখানে একাধিকবার (১৯৯২ এবং ২০১৫) আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াই হবে এই মাঠেই। ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টে ম্যাচটিও রয়েছে। এছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডও মুখোমুখি হবে দ্য জি’তে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আবারও রচিত হবে নতুন ইতিহাস। চ্যাম্পিয়ন দলের শিরোপার সাক্ষী হবে মেলবোর্ন।
পার্থ স্টেডিয়াম,পার্থ : পার্থ স্টেডিয়াম বার্সউড উপকূলে অবস্থিত। ২০১৭ সালের শেষের দিকে এর কাজ সমাপ্ত হয়। ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পার্থ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হয়। বার্সউড উপদ্বীপের স্টেডিয়ামটির পশ্চিমে চোখে পড়বে মনোরম সোয়ান নদী ও পার্থ শহরের দৃশ্য। প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি ধারণ ক্ষমতা স্টেডিয়ামটি অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়া এর পর এ স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতাই বেশি। মাঠটিতে ক্রিকেট ছাড়াও সকার, রাগবি লিগসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা এবং ইউনিয়ন প্লাস কনসার্টের মতো বিনোদনমূলক ইভেন্টের আশ্রয়স্থল।
উদ্বোধনের মাসেই মাঠটিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ওয়ানডে। যেখানে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। একই বছরের ডিসেম্বর প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের আতিথেয়তা গ্রহণ করে ভারত। প্রথম আর একমাত্র টি-টোয়েন্টিটি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটিতে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় অজিরা। বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ গড়াবে এই মাঠে। সবগুলো ম্যাচই হবে গ্রুপ পর্বের।
দ্য গাব্বা,ব্রিসবেন : ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ড অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের রাজধানী ব্রিসবেনে অবস্থিত। প্রায় ৪২ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটি ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কুইন্সল্যান্ডের উপকণ্ঠে ওলুংগাব্বা এলাকার নাম অনুসারে গাব্বা নামেও পরিচিত মাঠটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচ আয়োজনের জন্য ক্রিকেট বিশ্বে এর সুপরিচিতি আছে। ঐতিহ্যগতভাবে অজিরা গ্রীষ্মের প্রথম টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করে এই মাঠে।
দ্য গাব্বা বা ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এতে প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩১ সালে। অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা এই মাঠে প্রথম টেস্ট খেলার প্রায় ৪৮ বছর পর ১৯৭৯ প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও মাঠটির অভিষেক হয় অজি-প্রোটিয়া ম্যাচ দিয়ে।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগদানকারী ভক্তদের জন্য দ্য গাব্বা উষ্ণ ও প্রাণবন্ত পরিবেশ প্রদান করবে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। শক্ত ও বাউন্সিং পিচের জন্য ক্রিকেট বোদ্ধাদের প্রথম পছন্দ এই মাঠ। বিশ্বকাপের মোট চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। ৩০ অক্টোবর প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যদিও এখন পর্যন্ত টাইগারদের প্রতিপক্ষ নিশ্চিত হয়নি।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড : অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড যা সংক্ষেপে এসসিজি নামে পরিচিত। প্রায় ৪৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই মাঠ ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনোদনের ঐতিহ্যের ধারক সিডনির এই মাঠটি। ফুটবল-রাগবির পাশাপাশি ক্রিকেটেরও বহু ইতিহাসের সাক্ষী এসসিজি। এটি সিডনির পূর্ব শহরতলি ও কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলা সংলগ্ন সিডনির সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অবস্থিত।
এসসিজিতে সর্বপ্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮২ সালে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরু করে মাঠটি। এরপর ১৯৭৯ সালে এই দুই দলের ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয় এসসিজিতে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডই। এসসিজি এনএসডব্লিউ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা প্যাডিংটনের ভিক্টোরিয়া ব্যারাকের পেছনে ১৮৫২ সালের সাবেক গ্যারিসন গ্রাউন্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। এর মধ্যে ২৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।
বেলেরিভ ওভাল,হোবার্ট : বেলেরিভ ওভাল অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের হোবার্টের পূর্ব উপকূল তীরবর্তী সিটি অব ক্ল্যারেন্সের বেলেরিভে অবস্থিত। ডারওয়েন্ট নদীর রৌদ্রোজ্জ্বল পূর্ব তীরে মাঠটিতে ১৯১৪ সালে (প্রতিষ্ঠার পরের বছর) বেলেরিভ ওভালে প্রথম আনুষ্ঠানিক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ব্লান্ডস্টোন অ্যারিনা নামেও পরিচিত তাসমানিয়ার একমাত্র মাঠ হিসেবে বর্তমানে এখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাগুলোর আয়োজন করা হয়। দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার হাজারের মতো।
১৯৮৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গড়ায় এই মাঠে। নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার সে ওয়ানডে ম্যাচের প্রায় দেড় বছর পর ১৯৮৯ সালে গড়ায় প্রথম টেস্ট। যেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। আর ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় টি-টোয়েন্টির যাত্রা। আসন্ন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ নয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বেলেরিভ ওভালে। যার মধ্যে গ্রুপ পর্বের ছয়টি এবং সুপার টুয়েলভের তিনটি ম্যাচ রয়েছে। বাংলাদেশ এই ম্যাচেই নিজেদের প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে বিশ্বকাপ মিশন। ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
অ্যাডিলেড ওভাল : অ্যাডিলেড ওভাল অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাংশে অ্যাডিলেড শহরের একটি বিখ্যাত খেলার মাঠ। এটি অ্যাডিলেড শহরের গর্বিত কেন্দ্রবিন্দু। খেলাধুলা, শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ভরপুর একটি স্থান। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অপূর্ব মেলবন্ধনের জন্য এর পৃথিবীজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। অ্যাডিলেড ওভাল ১৮৭১ সালে নির্মিত হয়। স্টেডিয়ামটির সবচেয়ে বড় সংস্কার হয়েছিল ২০১৪ সালে। এখানে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের সম্মানে রয়েছে ব্র্যাডম্যান সংগ্রহ জাদুঘর।
৫০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই মাঠে সর্বপ্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮৪ সালে। ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড। আর প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়ায় ১৯৭৫ সালে। যেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের মতো এই মাঠে টি-টোয়েন্টিতেও প্রথমবার ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতেও হারে অস্ট্রেলিয়া।
অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের মোট সাতটি ম্যাচ গড়াবে এই মাঠে। এর মধ্যে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালও রয়েছে। সুপার টুয়েলভের লড়াইয়ে ২ নভেম্বর ভারতের ও ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
কার্ডিনিয়া পার্ক,জিলং : কার্ডিনিয়া পার্ক স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া স্টেটের জিলং-এ অবস্থিত। ২৬ হাজার দর্শকের মাঠটিতে ক্রিকেটের পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের খেলা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম স্টেডিয়ামগুলোর অন্যতম একটি কার্ডিনিয়া পার্ক। এটি বর্তমানে সাইমন্ডস স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। ১৯৪১ সালে নির্মিত হওয়া স্টেডিয়ামটি সাম্প্রতিক পুনর্বিন্যাস এটিকে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় আঞ্চলিক ভেন্যুগুলোর একটিতে পরিণত করেছে। কার্ডিনিয়া পার্ক প্রিসিনক্টের প্রাণকেন্দ্র এই স্পোর্টস ভেন্যুটি, যেখানে নেটবল ও সুইমিং পুলের ব্যবস্থা রয়েছে।
এই মাঠে এখন পর্যন্ত মাত্র দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৭ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা পুরুষ দল, একই দিন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড নারী দল মুখোমুখি হয়। আসন্ন বিশ্বকাপের মোট ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। উদ্বোধনী ম্যাচসহ প্রথম রাউন্ডের সবগুলো ম্যাচই হবে মাঠে।
ক্রিকেট
ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন প্রসঙ্গে যা বললেন বিজয়
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর আছে একই সময়ে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এনামুল হক বিজয়।
বিজয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির। সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, কিছু জায়গায় পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিবির বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেনও এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। দলে সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এনামুল হক বলেন, ‘এটা তো হতেই থাকবে। এটা আপনিও কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে। তারপরও এটা সামনে যত কম হয় সেই আশা আমরা করবো।’
বোর্ডের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের কথা অনেকেই উচ্চারণ করেছেন শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরপর। এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয় এটার (ক্রিকেট বোর্ড) বড় আলোচনা জরুরী। দুজন একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। যেখানে যে আছে।’
এম এইচ//
ক্রিকেট
পাকিস্তানের টেস্ট দলে এইচপি কোচ হলেন টিম নিলসন
টিম নিলসনকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে এই নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড।
পাকিস্তানের লাল বলের ক্রিকেটে দায়িত্বে আছেন জেসন গিলেস্পি। যার কোচিং স্টাফে যুক্ত হতে যাচ্ছেন টিম নিলসন। ইতোমধ্যে এই দুই কোচ পাকিস্তান শাহীন’স এ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আগস্টের ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্প। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দল প্রথম ম্যাচটি খেলবে আগস্টের ২১ থেকে ২৫ তারিখ। আর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি দুই দল খেলবে আগস্টের ৩০ থেকে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গিলেস্পির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নিলসনের। সবমিলিয়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী।
সম্প্রতি পিসিবি বাংলাদেশ সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যেও দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান শাহীন’স।
এম এইচ//
ক্রিকেট
দুই মাসের ছুটি চান অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন সাইফউদ্দিন। এই মাসের শুরুতে একজন নির্বাচক ইমেইল করেন এই অলরাউন্ডার। এরপর জানিয়ে দেন, তিনি ক্রিকেট থেকে আপাতত বিরতি নিতে চান এবং তা দুই মাসের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জুনে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যুক্ত হতে না পারা এবং গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে কানাডায় যেতে না পারা- সাইফউদ্দিনের জন্য বেশ হতাশার ছিল। এসব কারণেই তিনি আগামী ২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত মে মাসে, বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন