রাজশাহী
রাজশাহীতে শান্তিপুর্ণভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
শান্তিপুর্ণভাবে শুরু হয়েছে রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্ধারিত সময় সোমবার সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এ ভোট গ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ড, ৯টি উপজেলা, ১৪টি পৌরসভা ও ৭২ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে কোনো ভোট কেন্দ্র না থাকায় এখানকার জনপ্রতিনিধি পবা উপজেলার ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করছেন।
রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যানসহ মোট ৫১ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য পদে ১৭ জন ও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে রয়েছে ৩০ জন।
চেয়ারম্যার পদে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল (কাপ-পিরিচ), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতার (মোটরসাইকেল), বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল (তালগাছ) ও আফজাল হোসেন (আনারস) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৮৬ জন।
এবার নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৯টি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে ইভিএম পদ্ধতিতে। প্রতিটি কেন্দ্র নিরাপত্তায় র্যা ব, পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের রাখা হয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলার প্রিজাইডিং বরুন কুমার মন্ডল জানান, নির্ধারিত সময়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৪৬টি। তিনি বলেন, কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরেরর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহন চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ভোট গ্রহণ শুরু থেকে রাজশাহীর নয়টি উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন