রাজশাহী
রাবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ধর্মঘটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
হাসপাতালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের শাস্তির আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এখনও কাজে যোগ দেননি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত রাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। এ সময় সময় লাঞ্ছিত হন বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ ছাড়া চিকিৎসকদের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
নিহত শাহরিয়ার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। একই সঙ্গে হবিবুর রহমান হলের ৩৫৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে এক ছাত্র আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যান। এ ঘটনায় হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এ ঘটনায় রাত ১২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী মেডিকেল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসে। এ সময় দীর্ঘ আলোচনা শেষে রামেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটিতে আরও আছেন রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক, রাবি প্রশাসনের দুই সদস্য ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই সদস্য। তবে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয় আলোচনা সভায়। অন্যদিকে আন্দোলন স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিরে গেলেও এখনও কাজে যোগ দেননি ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিহত শিক্ষার্থী সঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা পাননি।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, বুধবার রাতে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে চলে গেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কাজে যোগ দেননি। আমাদের কিছু সিনিয়র ডাক্তার দিয়ে এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রেখেছি।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন