লাইফস্টাইল
তবে ডিভোর্সে কেন ভয়!
বিবাহ বিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের পরের জীবনে কোনও ভালো কিছু অপেক্ষা করে থাকে কি? এটা ভেবেই ডিভোর্স থেকে পিছিয়ে আসেন অনেক দম্পতি। কিন্তু ভালো থাকাই যখন আসল উদ্দেশ্য, তবে ডিভোর্সে কেন ভয়!
বিয়ে মানেই বাড়িভর্তি লোকজন, কেনাকাটা, সাজগোজ, ধুমধাম। আর সে সব কিছু ছাপিয়ে দুজন মানুষের সুখেদুঃখে পরস্পরের পাশে থাকার আশ্বাস, অনেক স্বপ্ন-আশার মেলবন্ধন। বিয়ের পর শুরু হয় সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়। বিয়ের পরবর্তী জীবন নিয়ে সবার মধ্যেই থাকে নানারকম চিন্তাভাবনা । বিয়ের পর জীবন যাতে আরও বেশি সুন্দর আনন্দের হয়ে ওঠে, তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন দুজনেই।
অনেকের বিবাহিত জীবন খুব সুন্দর হয়। আবার অনেকের তা হয় না। যদিও এই বিবাহিত জীবনে থাকে অনেক ভাঙা-গড়া ,উত্থান-পতন। কিন্তু এসব নিয়েই এগিয়ে যেতে হয় সামনে। বিয়ের পর দুজন মানুষ একে অপরের পাশে থাকেন। খারাপ সময়ে পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা করেন। কিন্তু সব সময় সম্পর্কের পথ মসৃণ হয় না। তাই পথ চলতে গিয়ে এক সময় ছুটে যায় এ প্রতিজ্ঞার হাত। তবে অসুখী বিবাহিত জীবনে থাকার চাইতে আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো বলে মনে করেন অনেক দম্পতি।
যারা এক সময়ে বিবাহিত সম্পর্কে অনেক অনেক কষ্ট পেয়েছেন, তারাই এক সময়ে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন করে খুঁজে নিতে চেয়েছেন নিজেকে। ডিভোর্সের পরেও যে জীবন আনন্দময় হতে পারে, তার প্রমাণ দিয়েছেন অনেকেই।
বিবাহিত জীবনে সুখ না থাকলে
অনেক দম্পতিই এক ছাদের তলায় থাকতে এসে বোঝেন, তারা জীবনে এরকম একটি সম্পর্ক চাননি। তাই উঠতে বসতে নানা কারণে ঝামেলা লেগেই থাকে। অশান্তিতেই শেষ হয়ে যায় জীবন।
আপনিও যদি এরকম পরিস্থিতিতে থাকেন, তাহলে আরও একবার চিন্তা করুন। দিনের পর দিন এই মানসিক অশান্তি নিয়েই এগিয়ে চলবেন, নাকি এবার একটু নিজের কথাও ভাববেন।
প্রয়োজনে থেরাপিস্ট ও আইনজীবীর সাহায্য নিন। তারা আপনাকে সঠিক পথ দেখাতে পারবেন।
অশান্তি হয় প্রতিদিনই
সঙ্গীর সঙ্গে কিছুতেই যেন বনিবনা হয় না। মানে যে কাজই করতে যান, দুজনের মধ্যে ঝামেলা বেঁধে যায়। দুজনের মতের মিল হয় না। ফলে এক সময় চূড়ান্ত অশান্তি শুরু হয়। আর এটা যেন জীবনের দৈনন্দিন রুটিন হয়ে দাঁড়ায়।
এমনটি হলে খুঁজে বের করুন দুজনের মধ্যে কেন কোনও বোঝাপড়া নেই। কেন একে অপরকে বারবার মানসিক আঘাত করছেন আপনারা, এর শেষ কোথায়? অনেক দম্পতিই এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসেন। ডিভোর্সের পর তারা ভালোও থাকেন।
চলছে অত্যাচার
অনেকেই আছেন যারা তার জীবনসঙ্গীকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে অত্যাচার করেন, নিপীড়ন করেন। এ অবস্থায় রুখে দাঁড়ান। দিনের পর দিন এরকম চলতে থাকলে এক সময় আপনার অবস্থা কী হবে তা ভেব দেখেছেন? এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ করুন। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন করে নিজেকে খুঁজে নিন। এই অত্যাচার দিনের পর দিন সহ্য করবেন না।
নিজেকে চিনুন নতুন করে
আপনার হয়তো পুরনো কিছু ভালো লাগার অভ্যাস ছিল, সেগুলো বিয়ের পর কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। একটি খারাপ টক্সিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পর মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়াই খুব স্বাভাবিক। এই সময়ে নিজেকে নতুন করে চিনে নিন। নিজের পুরনো ভালো লাগাগুলো গুরুত্ব দিন। সেই অভ্যাসটাই আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবে। দেখবেন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাবেন নিজের মধ্যে।
জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পাওয়া
সম্পর্কে থাকার সময়ে সঙ্গীর উপর এক মানসিক নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। আর এটা একদমই স্বাভাবিক। এতে কোনও ভুল নেই। সেই মানসিক নির্ভরশীলতা কাটিয়ে বেরিয়ে এসে আবার একা থাকা বেশ কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়। তাই নিজেকে সময় দিন। নিজের জীবনকে নতুনভাবে দেখুন। তাহলেই বেঁচে থাকার নতুন কারণ ও অর্থ খুঁজে পাবেন। ভালো থাকতে পারবেন সহজেই।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন