এশিয়া
কংগ্রেস থেকে বের করলো সাবেক চীনা প্রেসিডেন্টকে
চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওকে অপ্রত্যাশীতভাবে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের সমাপ্তি অনুষ্ঠান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে শনিবার ওই অনুষ্ঠানে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে বসা হু জিনতাওকে দুজন লোক এসে পাহারা দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায়।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের আগে চীনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ৭৯ বছর বয়সি জিনতাও।
কংগ্রেসে উপস্থিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানান, দুজন কর্মকর্তা এসে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলের মূল অডিটোরিয়ামের মঞ্চ থেকে জিনতাওকে সরিয়ে নিয়ে যান।
গত রোববার (১৬ অক্টোবর) পার্টি কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে ছিলেন হু জিনতাও। সেদিনও তাঁকে কিছুটা অস্থির দেখাচ্ছিল।
প্রতি পাঁচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত এ কংগ্রেস পার্টির সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। ওই সংশোধনীতে পার্টিতে শি-র মূল মর্যাদা অক্ষুণ্ন এবং রাজনৈতিক চিন্তাকে পার্টির পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় রাখা হয়েছে।
এই ঘটনার বিষয়ে চীনা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হয়নি, তবে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে হু জিনতাও ভালো বোধ করছিলেন না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ডানে বসেছেন তার প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং, তার ডানে বসেছেন পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ওয়াং ইয়াং। আর প্রেসিডেন্ট শি’র বামপাশে বসে আছেন হু জিনতাও। তাকে যখন আসন থেকে তুলে নিয়ে যান এজেন্টরা, তখন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মুখ ছিল পাথরের মতো শক্ত। সাবেক প্রেসিডেন্টকে তার আসন থেকে তুলে নিয়ে গেলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। হু জিনতাওকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টাকালে তিনি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু কি বলেছেন তা বোঝা যায়নি।
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন