ফুটবল
১ হাজার ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করবেন মেসি
সব কিছু ঠিক থাকলে বিশ্বকাপেই ক্লাব ও দেশের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারে এক হাজার ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি।
ইতোমধ্যেই মেসি ৯৯১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। এর মধ্যে আটশরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন বার্সেলোনার হয়ে। কাতালান জায়ান্টদের জার্সি গায়ে ৮২৬ ম্যাচে মেসি সর্বোচ্চ ৬৯১টি গোল করা ছাড়াও ৩২৬টি এ্যাসিস্ট করেছেন। বর্তমান ক্লাব পিএসজির হয়ে ৪৯ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৯টি, এ্যাসিস্ট রয়েছে ২৩টি। জাতীয় দলের হয়ে ১৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৯০টি গোল করেছেন, এ্যাসিস্ট করেছেন ৫১টি।
এক হাজার ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করতে মেসির আর মাত্র ৯টি ম্যাচ প্রয়োজন। আর্জেন্টিনা যদি ফাইনালে পৌঁছায় তবে মেসি ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এই সময়ের মধ্যে ১৩টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। এর মধ্যে পিএসজির হয়ে ৫টি ও আর্জেন্টিনার হয়ে আটটি ম্যাচ রয়েছে, যার মধ্যে সাতটি বিশ্বকাপে ও একটি বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচ। অর্থাৎ এই ১৩টি ম্যাচের মধ্যে মেসি যদি পিএসজির হয়ে সবকটি ও জাতীয় দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ ও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পান তবেই হাজার ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করবেন।
পিএসজির হয়ে মেসির সামনে অপেক্ষা করছে লিগ ওয়ানে ট্রয়েস, লোরিয়েন্ট, অক্সেরের বিপক্ষে ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজি খেলবে মাকাবি হাইফ ও জুভেন্টাসের বিপক্ষে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ রয়েছে। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। নক আউট পর্বে শেষ ১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালেও আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির খেলার সুযোগ রয়েছে।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আরো একটি রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার। এন্টোনি কারভাহাল, গিয়ানলুইজি বুফন, রাফায়েল মারকুয়েজ ও লোথার ম্যাথিউজের পর পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ডও স্পর্শ করবেন মেসি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন