আবহাওয়া
খুলনায় বাঁধে ভাঙন, প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মধ্যরাত থেকে উপকূলজুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বার বার বিধ্বস্ত খুলনা। রোববার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে কয়রা উপজেলার হরিণখোলা ও গাতিরঘেরী স্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে, দুপুরের জোয়ারের আগে ওই স্থানের বাঁধের ভাঙনে কাজ করতে না পারলে ফসল, ঘরবাড়ি সব নোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।
কয়রা পশ্চিম দেয়াড়া একতা সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো.তরিকুল ইসলাম বলেন, উপকূলজুড়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। দুটি স্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ নেই। আশ্রয়কেন্দ্রে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থায় লাইট জ্বললেও মোবাইল চার্জিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে আবহাওয়া বার্তা পেতে সমস্যা হচ্ছে।
খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়রার হরিণখোলা ও গাতিরঘেরীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের নিয়ে মেরামতের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া কয়রার হোগলা, দোশহালিয়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালী, গাববুনিয়া, আংটিহারা, ৪ নং কয়রা সুতির গেট ও মঠবাড়ির পবনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে নিজ নিজ এলাকার বাঁধের দিকে খেয়াল রাখার জন্য। সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অবস্থান মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল। মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, রোববার মধ্যরাত থেকে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এ দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত আরও ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। মধ্যরাত থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কয়রা আবহাওয়া অফি সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বান্না জানান, ঘূর্ণিঝড় মঙ্গলবার ভোরের দিকে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সোমবার ভোর থেকে কয়রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যরাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় রিপোর্ট প্রদানে সমস্যা হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে জেলায় ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপে ১১৮, বটিয়াঘাটায় ২৭, কয়রায় ১১৭, ডুমুরিয়ায় ২৫, পাইকগাছায় ৩২, তেরখাদায় ২২, রূপসায় ৩৯, ফুলতলায় ১৩ ও দিঘলিয়ায় ১৬টি।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, গত মধ্যরাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাইকগাছা উপজেলার কোথাও বাঁধ ভাঙার সংবাদ পাইনি। তবে দুপুরের জোয়ারের পর সার্বিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আগতদের জন্য শুকনো খাবার, চাল ও টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
আবহাওয়া
দেশের ৯ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় হাওয়ার সম্ভাবনা
ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে দেশের নয়টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী,ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও,বৃহস্পতিবার বরিশাল, চট্টগ্রাম , সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
জেডএস/
আবহাওয়া
ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস
ঢাকাসহ দেশের ১২টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই মেঘলা রয়েছে ঢাকার আকাশ। এরই মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টিতে ভিজেছে রাজধানী।
আই/এ
আবহাওয়া
দেশের সব বিভাগেই হতে পারে ভারী বৃষ্টি
দেশের ১০ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, যশোর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, নোয়াখালী, খুলনা, ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, হরিয়ানা,পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সবগুলো বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে । এছাড়াও সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
জেডএস/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন