এশিয়া
মিয়ানমারে কারেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮০ সেনা নিহত
কারেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মিয়ানমারের অন্তত ৮০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলের শহর পালুতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মিওয়াডি পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) জানিয়েছে, পালুর দক্ষিণে ওয়াও লেতে বুধবারও (২ জুন) সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল।
কারেন জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (কেএনডিএফ) জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর তারা ৬০ মিলিমিটার মর্টার লঞ্চার এবং প্রায় ২০টি হালকা অস্ত্র জব্দ করে।
বেসামরিক যোদ্ধাদের সমন্বয়ে শান রাজ্যের পেখন শহরসহ কারেন এলাকায় ‘কারেন বিদ্রোহীদের’ জোট গঠিত। এই অঞ্চলজুড়ে অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে মিয়ানমারের নৃগোষ্ঠীগত এই বিদ্রোহীরা সক্রিয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার পর বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তার সংঘর্ষ বেড়েছে।
মিয়ানমার নাউ’য়ের খবরে বলা হয়, সোমবার বেলা দেড়টার দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ১৫০ সদস্যের একটি দল কায়াহ রাজ্যের রাজধানী লইকাও থেকে দেমোসো শহরের কোনে থার গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় কারেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। কারেন বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সৈন্যদের দৃঢ় প্রতিরোধে জান্তা বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, ‘জান্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনে শহরের একটি মুরগির খামারে অবস্থান করছিল। এ সময় অতর্কিতে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়।’
ওই আক্রমণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বহু সেনা নিহত হয়েছে উল্লেখ করে কেনএডিএফ সদস্য জানান, জান্তার ইউনিটটি স্থানীয় না হওয়ায় এলাকাটি তাদের অচেনা। এ ছাড়া নতুন করে বাহিনীতে সৈন্য আনতেও সক্ষম হয়নি তারা।
বিদ্রোহী কেএনডিএফের ওই সদস্য বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় তারা কোনো ধরনের সাহায্য পায়নি। জনগণ আমাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে। আমরা তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম ফলে কৌশলে আমরা এগিয়ে ছিলাম। এ কারণে তাদের অনেক সদস্য নিহত হয়েছে।
তবে পরবর্তীতে কারেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান এবং কামানের গোলা নিক্ষেপ করে। এতে তাদের এক সদস্য নিহত এবং ছয়জন আহত হয়। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী স্থল এবং আকাশপথে আক্রমণের ফলে তারা ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।
এএ
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/