এশিয়া
কাশ্মীরে গুলিতে নিহত বিজেপি নেতা
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন রাকেশ পণ্ডিতা নামের এক বিজেপি নেতা। বুধবার রাত সোয়া ১০টা নাগাদ দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ত্রাল এলাকায় হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ত্রাল পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন রাকেশ পণ্ডিতা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার বলেছেন, বুধবার রাতের দিকে ত্রাল পাইনে বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছিলেন রাকেশ। ওই সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অন্তত তিনজন বন্দুকধারী। আহত অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানেই রাকেশ মারা যায়।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বন্দুকধারীদের হামলায় আহত হয় রাকেশের বন্ধুর এক মেয়েও। তার অবস্থা সংকটজনক।
পুলিশ জানায়, শ্রীনগরে একটি বাড়িতে থাকতেন রাকেশ। বাড়িতে বিশেষ নিরাপত্তাও দেওয়া হতো। এছাড়া রাকেশের সঙ্গে দুইজন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী থাকতেন।
কাশ্মীর পুলিশের আইজি বলেন, ত্রালে যাওয়ার সময় রাকেশের সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা ছিল না। গুলি চালানোর এলাকাটি পুরো ঘিরে ফেলা হয়েছে। আততায়ীদের গ্রেপ্তার করতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বিজেপি নেতার ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন দলীয় মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা চালিয়ে বিজেপি নেতাদের মানুষের জন্য কাজ করা থেকে বিরত রাখা যাবে না। পুলিশকে অবশ্যই আততায়ীদের খুঁজে বের করতে হবে এবং উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
পিপলস কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ লোন বলেন, একজন বেসামরিক ব্যক্তির ওপর বন্দুকধারীরা হামলা চালাল। এই বন্দুক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেদিন থেকে কাশ্মীরে এই বিপদ এসেছে সেদিন থেকে আমরা এটাই দেখছি। এক কথায় সম্পূর্ণভাবে কাশ্মীরিদের দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য ইতোমধ্যে রাকেশ কেন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গেল বছর ভারতে পাঁচ বিজেপি নেতা মারা গিয়েছিল। এরপর নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুরো পর্যালোচনা করা হয়। শ্রীনগরে বেশিরভাগ বিজেপি নেতাকে সুরক্ষিত বাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/