আইন-বিচার
৫০ কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্পসহ আটক ৩
রাজধানীর রূপনগর ও মিরপুর এলাকায় জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১০। অভিযানে মালিক ও কারিগরসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় বিপুল পরিমাণ জাল স্ট্যাম্প ও জাল স্ট্যাম্প তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, গেলো রোববার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর রূপনগর থানার ইস্টার্ন হাউজিং ও মিরপুর-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ কোটি টাকা সমমূল্যের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল বাংলাদেশ কোর্ট ফি ও নন জুডিশিয়াল জাল স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। প্রায় ২০ লাখ টাকার সরঞ্জামসহ কারখানার মালিক ও দুই জনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন— মোতাহার মিয়া (২৬), মো. মিকাইল মিয়া (২০) ও মোছা. আম্বিয়া পারভেজ লুপা (২০)।
জব্দ তালিকায় রয়েছে— ১০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের রেভিনিউ স্ট্যাম্প, ২০ টাকা মূল্যমানের জাল বাংলাদেশ কোর্ট ফি এবং ১০০ টাকা মূল্যমানের নন জুডিশিয়াল জাল স্ট্যাম্পসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, নন জুডিশিয়াল জাল স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি তৈরির সরঞ্জাম।
ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, আটকরা জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল বাংলাদেশ কোর্ট ফি ও জাল নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প প্রস্তুত ও সরবরাহকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সরকারের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসের মুদ্রণযোগ্য বিভিন্ন সরকারি রেভিনিউ স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুত করে দেশের বিভিন্ন অসাধু রেভিনিউ স্ট্যাম্প, বাংলাদেশ কোর্ট ফি ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করে আসছিলো।
তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন