Connect with us

এশিয়া

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ১৯৫৫ সালের আইনে নাগরিকত্ব দিচ্ছে ভারত

Published

on

১৯৫৫ সালের আইনে বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। মূলত ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের দুই জেলায় বসবাসকারী বাংলাদেশি সংখ্যালঘুরা এই নাগরিকত্ব পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই।

এছাড়া বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে গুজরাটের ওই দুই জেলায় চলে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট, ১৯৫৫ এর অধীনে নাগরিকত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাদ দিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের অধীনে নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপ তাৎপর্য বহন করে।

পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের সিএএ আইনের অধীনেও আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার অধিকার রয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু বিতর্কিত ওই আইনের অধীনে নিয়মগুলো সরকার এখনও প্রণয়ন করেনি। আর তাই এখন পর্যন্ত সেই আইনের অধীনে কেউই নাগরিকত্ব পায়নি।

Advertisement

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গুজরাটের আনন্দ এবং মেহসানা জেলায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে যে অমুসলিমরা এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। তবে তা ২০১৯ সালের সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে নয় বরং ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের অধীনে এই নাগরিকত্ব প্রদানের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

মূলত গুজরাটে আসন্ন নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টতই ভোটের রাজনীতি দেখছেন বিরোধীরা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গুজরাটের আনন্দ এবং মেহসানা জেলায় বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ধারা-৫ এর অধীনে ভারতের নাগরিক হিসাবে নিবন্ধনের অনুমতি দেয়া হবে বা ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬ নম্বর ধারা এবং ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব বিধি অনুযায়ী তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ দেয়া হবে।

পিটিআই বলছে, গুজরাটের ওই দুই জেলায় বসবাসকারী এই ধরনের লোকদের নাগরিকত্বের আবেদনগুলো অনলাইনে জমা দিতে হবে এবং জেলা পর্যায়ে কালেক্টরের মাধ্যমে সেগুলো যাচাই করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আবেদন এবং তার রিপোর্টগুলোতে জেলা প্রশাসনের মতো কেন্দ্রীয় সরকারও প্রবেশ করতে পারবে।

এতে বলা হয়েছে, আবেদনকারী নাগরিকত্ব পাওয়ার উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় তদন্ত করতে পারবেন কালেক্টর এবং তদন্ত সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় যাচাই এবং মন্তব্যের জন্য আবেদনটি অনলাইনে পাঠাতে পারবেন তারা।

Advertisement

সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীর উপযুক্ততার বিষয়ে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে নিবন্ধন বা স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান এবং নিবন্ধন বা নাগরিকত্বের একটি সনদ কালেক্টর প্রদান করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকার বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসীদের — হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে চায়। মূলত ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে পৌঁছানো অমুসলিম অভিবাসীরাই ছিল বিজেপির টার্গেট।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর পাস হয়। ১২ ডিসেম্বর আইনটি প্রণয়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ভারতজুড়ে আইনটি কার্যকর হবে। কিন্তু সেই আইনের বিধি এখনও পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত করা যায়নি।

তবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে সিএএ পাস হওয়ার পরে এবং প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের পরে ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। সহিংস সেই বিক্ষোভে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

এশিয়া

জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

Published

on

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।

এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।

সূত্র: রয়টার্স

জিএমএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল

Published

on

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ

Published

on

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।

সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।

এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।

Advertisement

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it