এশিয়া
অবৈধ বাংলাদেশিদের সতর্কতা জারি করল মোদি সরকার
ভারতে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে বসবাসের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
গেলো রোববার (৬ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। দেশটির ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে এই সতর্কতা জারির খবরটি প্রকাশ হয়।
এতে বলা হয়েছে, ভারতে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিরা চাকরি, পাসপোর্ট পেতে ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে প্রাপ্ত নথি ব্যবহার করছেন।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সতর্কতা জারি করে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশকে বলা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীরা যারা পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে লুকিয়ে দেশজুড়ে বসতি স্থাপন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
দ্য হিন্দু বলছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্থানীয় লোকজন এবং এজেন্টদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানানো হয়েছে। নিজেদের মধ্যে অত্যন্ত মজবুতভাবে সম্পৃক্ত ওই নেটওয়ার্কটি বিদেশি (বাংলাদেশি) নাগরিকদের প্রবেশ, জাল ঠিকানা ও পরিচয় ইত্যাদির সাহায্যে আসল নথি পেতে সহায়তা করে থাকে।
এছাড়া ভারতে প্রবেশের পর অবৈধ অভিবাসীদের যারা প্রাথমিকভাবে আধার কার্ড হাতে পান তারা কর্মসংস্থানের জন্য ভারতের বিভিন্ন স্থানে চলে যান এবং সেখানে বসতি স্থাপন করেন। কেউ কেউ ঠিকানা বা পরিচয়ের অন্যান্য প্রমাণ যেমন ব্যাংকের পাসবই, ভোটার পরিচয়পত্র এবং প্যান কার্ড পেতেও সক্ষম হয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
ভারতের সিনিয়র একজন পুলিশ কর্মকর্তা দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ভারতে প্রবেশের পর এই ধরনের নথিগুলো অবৈধ বিদেশিদের কোনো এক প্রদত্ত ঠিকানায় জাল পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে এবং চাকরি পেতে সহায়তা করে। বিদেশ ভ্রমণে পাসপোর্ট পেতে অনেকেই এগুলো ব্যবহার করছেন। যেহেতু পাসপোর্টসহ এই ধরনের নথিগুলো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রদান করা হয়, তাই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সন্দেহ বা ধরা পড়া ছাড়াই ভ্রমণ করেন।
সম্প্রতি জারি করা ভারতের মোদি সরকারের সতর্কতায় বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের কিছু স্থানীয় বাসিন্দা জালিয়াতি করে প্রাপ্ত ভারতীয় পরিচয় নথি, বিশেষ করে আধার কার্ড প্রদান করে এসব কাজে এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে।
ভারতীয় নাগরিক হিসাবে জাহির করা বিদেশিরা ভারতজুড়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এসব নথি ব্যবহার করছে ইঙ্গিত দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, অভিযুক্ত বিদেশি নাগরিকরা তামিলনাড়ু, কেরালা এবং কর্ণাটকসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বসতি স্থাপন করছেন।
সতর্কতা জারি হওয়ার কয়েকদিন পর ১৯৫৫ সালের আইনে বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। মূলত দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের দুই জেলায় বসবাসকারী বাংলাদেশি সংখ্যালঘুরা এই ঘোষণার আওতায় নাগরিকত্ব পাবেন।
একইভাবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও নাগরিকত্ব দেয়া হবে জানায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অবশ্য কয়েক বছর আগে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর পুলিশ বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল। মূলত পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় বাসিন্দা হিসাবে নথি থাকা এসব বাংলাদেশিরা তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জেলায় বসতি স্থাপন করেছিল এবং নির্মাণ, আতিথেয়তা এবং টেক্সটাইল শিল্পে চাকরি নিয়েছিল।
সেসময় কয়েকজনকে ফরেনার্স অ্যাক্টের ধারায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়। এই ধরনের সন্দেহভাজনদের বেশিরভাগই তিরুপুর, চেঙ্গলপাট্টু, ইরোড, কুদ্দালোর এবং কাঞ্চিপুরম জেলায় বসতি স্থাপন করেছিলেন বলে জানায় দ্য হিন্দু।
এছাড়া করোনা মহামারির লকডাউনের সময় কয়েক লাখ অভিবাসী ভারতীয় শ্রমিক তাদের নিজ নিজ রাজ্যের উদ্দেশে রওনা হলেও সেসময় বাংলাদেশি শ্রমিকরা তামিলনাড়ুতেই থেকে যান।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ মহামারির সময়কালে মাদক ব্যবসার মতো কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন বলেও বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করেছে।
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন