খুলনা
সাতক্ষীরায় কঠোর বিধিনিষেধ মানছেন না সাধারণ মানুষ
করোনা সংক্রমণ রোধে সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।
আজ রোববার (৬ জুন) সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো চলা কঠোর বিধিনিষেধে প্রশাসন জেলাব্যাপী কঠোর ভূমিকা পালন করছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে বৈধ-অবৈধ যানবাহন চলাচল করছিল অবাধে। সাধারণ মানুষ প্রশাসনের নজরদারি উপেক্ষা করে সকাল থেকে অবাধে ঘোরাঘুরি করছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধ কমাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এনডিসি মো. আজাহার আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরার ১০টি মোবাইল কোর্টের অভিযানে ৬৫টি মামলায় ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে এমন অভিযান চলবে।
বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ রোধে অবৈধভাবে ভারতে যাতায়াত বন্ধে সাতক্ষীরা সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি। গত ৩৭ দিনে সীমান্ত গলিয়ে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশকালে ৩৫ জন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে।
এদের মধ্যে আটক ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ-এর কাছে হস্তান্তর ও বাংলাদেশি নাগরিকদের জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক রেখে ভারতীয় ট্রাকচালক ও হেলপারদের বন্দরে খোলামেলা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, করোনা প্রতিরোধে জেলায় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।এক্ষেত্রে সকলকে
এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। পরীক্ষা অনুযায়ী আক্রান্তের হার ৪৭.৩৪ শতাংশ। এছাড়া, জেলায় চব্বিশ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ২২০ জন।
শনিবার দুপুর থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালে তারা মারা যান। করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় ২৪৫ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ নিয়ে, জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৭ জন। এছাড়া করোনা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৪৮ জন।
শেখ সোহান
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//