খুলনা
বিএনপি-জামাতের যোগসাজসেই আল-জাজিরা কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করেছে: হানিফ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞতা ও বিচক্ষন দক্ষতাকে খাটো করে, দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজকে বাধাগ্রস্ত করতেই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামাতের যোগসাজসে আল-জাজিরা টেলিভিশন উদ্ভট এক কাল্পনিক কাহিনী তৈরী করেছে’।বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মাহবুব উল আলম হানিফ এমপিকে তার নিজ বাসভবনে বিভিন্ন বেসরকারী টিভি চ্যানেল ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরাম্যানদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়ার সময় তিনি গণমাধ্যম ক্যামেরায় এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি-জামাত এবং তাদের মিত্ররা বরাবরই ষড়যন্ত্র করে আসছে, এর আগে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচীর নাম করে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়েছে, জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর করে মানুষ হত্যা করেও যখন সরকারের কিছু ক্ষতি করতে পারে নাই, তখন তারা অভ্যন্তরীন ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি বার্হিবিশ্বের বিভিন্ন চক্রের সাথে যোগসাজস করে নানাভাবে দেশের ইমেজকে নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং এইটা করে তারা ভাবছে যে এতেই বুঝি সরকার পতন হয়ে যাবে’।
এসময় হানিফ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি তো আসলে দিবা স্বপ্ন দেখছে। যেহেতু তাদের কোন জনসমর্থন নেই, সেজন্য তারা এখন মনে করছে যে ষড়যন্ত্র করেই সরকারের পতন ঘটানো যাবে। এখন তাদের কাজই হলো ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজে বেড়ানো। তারা অতীতেও এভাবে নানা পদ্ধতিতে একটা করে কাল্পনিক কাহিনী তৈরী করে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপির এসব দিবাস্বপ্ন দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে এই স্বপ্ন কোন দিনই বাস্তবায়ন হবে না’ ‘সরকারকে পতন ঘটানোর মতো বিএনপি-জামাত বা একাত্তরের পরাজিত শক্তির কোন সক্ষমতা নেই’।
এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মুনিয়া
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//