চট্টগ্রাম
এমপি একরামকে মাফ করে দিলেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।
আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিষয়টি তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে পরিষ্কার করেন দুই নেতা। সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন।
নিজের বক্তব্যে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, গতকাল আমার বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি ওনার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আজ ভরা সমাবেশে সবার সামনে ক্ষমা চাচ্ছি। আজ থেকে আমি ওনার পেছনে রাজনীতি করব।
এরপর ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৮ সালে কোম্পানীগঞ্জে ভোটে পিছিয়ে থাকলেও কবিরহাটের মানুষ আমাকে জয়ী করেছে। আমি কবিরহাটবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। অনেকে একরাম চৌধুরীকে নিয়ে আমাকে ভুল বুঝিয়েছে। গতকাল তিনি আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।
বিএনপি মসহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায় মুক্তি দিতে সংবিধানে কুখ্যাত আইন প্রণয়ন করেছিলেন, ভুলিনি মির্জা ফখরুল। জাতীয় নেতাদের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে। আমরা ভুলিনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছেন। বিএনপি আমাদের মারতে চায়, হত্যা করতে চায়। কথা কথায় বলে ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একজন পরিশ্রমী মানুষ। যিনি দেশ ও জাতির উন্নয়নে সারাক্ষণ চিন্তা করেন। তিনি করোনাকালীন সময়ে সংকট দূর করতে সমর্থ হয়েছেন। ইনশাআল্লাহ তিনি বর্তমান সংকটও উত্তরণ করতে পারবেন। শেখ হাসিনাকে বহুবার হত্যার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে। খেলা হবে খেলা হবে; দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে রাজপথে; ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আগে বলা হতো নোয়াখালীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি। আমি বলবো বিএনপি নয় নোয়াখালীর মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। কেউ আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে বৃহত্তর নোয়াখালীতে সব আসনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট-এর মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান আর ২১ আগস্ট-এর মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান। সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন