Connect with us

খুলনা

প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে প্রস্তুত গোটা যশোর

Avatar of author

Published

on

করোনার কারণে প্রায় আড়াই বছর কোনো জেলা সফরে যেতে পারেননি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হয়নি কোনো জনসভাও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে তখন আবারও জনসমাবেশমুখী ক্ষমতাসীন দলের প্রধান। আর তাই রাজনৈতিক জনসমাবেশ ঘিরে যশোরে সাজসাজ রব, প্রস্তুত মঞ্চও।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে যশোরের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

সবশেষ পাঁচ বছর আগে যশোরে জনসমাবেশ করেন শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানাতে পুরো শহরের পাশাপাশি সেজে উঠেছে জেলা স্টেডিয়াম। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নেতারাও তৎপর এ জনসভা ঘিরে। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে, ব্যাপক লোকসমাগমের শো-ডাউনের পাশাপাশি দলীয় প্রধান নির্বাচন কেন্দ্রিক বার্তা দেবেন বলেই আশা সংশ্লিষ্টদের।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত একেকটি প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে এখন বদলে গেছে যশোরের আদিরূপ। এককালের সন্ত্রাসের জনপদে সদর্পে মাথা তুলে দাঁড়ানো শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এখন সম্পূর্ণ চালু হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারত-বাংলাদেশের অন্যতম বড় গেটওয়ে হিসেবে খুলনা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়কও নির্মিত হচ্ছে নতুন করে। প্রথম ডিজিটাল জেলার খেতাব পাওয়া এ জনপদের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরটিও এখন আধুনিকায়নের অপেক্ষায়। প্রস্তাবিত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা, ফাউন্ড্রি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণযজ্ঞসহ একগুচ্ছ প্রকল্প এখন বাস্তবায়নের অপেক্ষায়।

জনসভার মঞ্চটি নৌকার আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। যশোরের জনসভার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধানের দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু হচ্ছে। এরপর তিনি ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে এবং ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলীয় সভাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে জনসভায় ভাষণ দেবেন। এসব জনসভায়, দলীয় সভাপতি তার ভাষণে জনগণের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও নতুন বার্তা দেবেন।
এদিকে বুধবার (২৩ নভেম্বর) সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, এ মাঠ থেকেই বিরোধী শক্তিকে প্রতিহতের ডাক আসবে, জনসমাগম হবে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের।

Advertisement

যশোর স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের বলেন, যশোর ও এর আশপাশের জেলাগুলোর কোনো মানুষ বাড়িতে বসে থাকবে না। তারা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা শুনতে জনসভায় আসবেন। এই অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ শেখ হাসিনার জনসভায় অংশ নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন।

তিনি আরও বলেন, এক সময়ে সন্ত্রাসবাদের জনপদ যশোর আওয়ামী লীগের শাসন আমলে এখন উন্নয়নের জনপদে পরিণত হয়েছে। তাই এই জনসভাকে কেন্দ্র করে যশোর জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকদের বলেন, যশোরে শেখ হাসিনার জনসমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তাকে স্বাগত জানাতে এ অঞ্চলের সর্বস্তরের জনগণ প্রস্তুত রয়েছে। করোনার কারণে আওয়ামী লীগ প্রধান ২৭ মাস পর, ঢাকার বাইরে কোনো জনসভায় অংশ নিচ্ছেন।

এছাড়া যশোর জেলা আওয়ামী লীগের জনসভাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিএনপি উসকানি দিলে পরিস্থিতি অনুযায়ী করনীয় ঠিক করা হবে।

 

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

খুলনা

কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি

Published

on

কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।

তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।

কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০

Published

on

কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।

রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।

জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’

মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

 কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০

Published

on

খুলনায়-কনস্টেবল-সুমন-হত্যায়-মামলা

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।

এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।

নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।

Advertisement

সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it