ফুটবল
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল ব্রাজিল
বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে থেকেই আলোচনার টেবিলে শিরোপা জয়ে হট ফেভারিটের তালিকায় ছিল নেইমারের দল ব্রাজিল। সার্বিয়ান রক্ষণে আগুন ঝরিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। তার জোড়া গোলের সুবাদে সার্বিয়াকে ২-০ তে হারিয়েছে তিতের দল। সেই সাথে কাতারের মরুর বুকে নিজেদের হেক্সা মিশনের শুরুটাও করল দুর্দান্তভাবে।
আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই সার্বিয়া রক্ষণে আক্রমণ চালায় ব্রাজিল।
এবারের বিশ্বকাপের শুরুতেই আর্জেন্টিনা-জার্মানির মতো বড় দলের অকল্পনীয় হারে সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে সেলেসাওদের নিয়েও আতঙ্কে ছিলেন ব্রাজিলের অনেক সমর্থক। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই নেইমারকে ফাউল করে বসেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার পাভলোভিক। যার ফলে তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
১৩তম মিনিটে সার্বিয়ার ডি-বক্সে ভিনিসিয়াস জুনিয়র বল কাটাতে গেলে কর্নার পায় ব্রাজিল। নেইমারের বা দিকের দারুণ শট সার্বিয়ার গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন। তবে আবারও কর্নার কিক পায় ব্রাজিল। সেই কর্নার থেকে নেওয়া নেইমারের শট এবার সহজেই ধরে ফেলেন সার্বিয়ান গোলরক্ষক।
একের পর এক এমন আক্রমণ চালিয়েও জালের দেখা পাচ্ছিল না নেইমাররা-রাফিনহারা। ফলে শুরু থেকেই আক্রমণ করা ব্রাজিল ২৮ মিনিটেও সুযোগ পান অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার কল্যাণে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে মাঝ মাঠ থেকে দারুণ এক ভলিতে পাস দেন সিলভা। মাঠের বাঁ দিক দিয়ে সেই পাস দুর্দান্ত গতিতে ডি-বক্সে প্রবেশ করান ভিনিসিয়াস। তবে সার্বিয়ান গোলরক্ষক দারুণ ডাইভ দিয়ে গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন।
ফলে বার বার সার্বিয়ান ডিফেন্ডারদের সামনে গিয়ে নিজেদের ফিনিশিং রোলটা পালন করতে ব্যর্থ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডরা। ৩৩ মিনিটে নেইমারকে রুখে দেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার। অল্পের জন্য বড় সুযোগ নষ্ট করেন ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় এই তারকা। তার ঠিক মিনিট দুয়েক পরে রাফিনহাও একই ভুল করেন। ফলে বার বার গোলবঞ্চিত হতে থাকে হলুদ শিবির।
৪০ মিনিটে আবারও সার্বিয়াকে রক্ষা করেন তাদের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। এবার নিখুঁত ট্যাকেলে ভিনিসিয়াসকে আটকে দেন সার্বিয়ানরা। এরপর আরও কয়েকবার চেষ্টা করেও জালের দেখা না পেলে প্রথমার্ধে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের যোদ্ধারা।
৬২তম মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদেরও উল্লাসে মাতান রিচার্লিসন। আক্রমণে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি জালের ঠিকানা খুঁজে নেন টটেনহ্যামের এই তারকা ফুটবলার। এরপর ৭১তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অ্যাসিস্ট থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রিচার্লিসন। যার সুবাদে কাতারে নিজেদের হেক্সা মিশনের প্রথম ম্যাচে দুই গোলের লিড পায় থিয়াগো সিলভার দল।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন