ফুটবল
পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিলো ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র
‘দ্য গেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবলের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। কাতারে অনুষ্ঠেয় এবারের বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের হট ফেভারিটদের তালিকায় অন্যতম ধরা হচ্ছে হ্যারি কেইনদের। মাঠের লড়াইয়ে কিংবা খ্যাতিতে এই দলটি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক দিকেই এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে এই দুই দলের মুখোমুখি দেখায় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে ইংল্যান্ডই!
তাই অতীত ইতিহাসের এমন সমীকরণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার মিশনে কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। তবুও জালে গোলের দেখা পায়নি গ্যারাথ সাউথগেটের শিষ্যরা। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে স্টারলিং-সাকাদের আক্রমণকে থামিয়ে নিজেদের অতীত ইতিহাসই আবারও যেন অক্ষুণ্ণ রাখলো যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইংল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করল মার্কিনীরা।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দোহার আল বায়েত স্টেডিয়ামে মাঠের লড়াইয়ে নেমে প্রথমার্ধে বেশ দুর্দান্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইংলিশ শিবিরে লুক শ, হ্যারি ম্যাগুয়ার, জন স্টোনস ও কিয়েরন ট্রিপিয়ারকে দিয়ে তৈরি ডিফেন্স লাইন ভেদ করতে পারেনি গ্রেগ বারহাল্টারের দল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে প্রথমার্ধে নেওয়া ৯টি শটে মাত্র একটি শটই লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল পুলিসিক–উইয়াহরা।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডও বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণ শিবিরে হানা দেয়। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে ইংলিশ মিডফিল্ডারের ম্যাসন মাউন্টের সামনে বড় একটি সুযোগ আসে গোল করার। তবে আক্রমণাত্মক এই মিডফিল্ডারের নিচু সেই শট ঠেকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার। যার ফলে গোলে ৮টি শট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটিই লক্ষ্যে নিতে পেরেছিল গ্যারাথ সাউথগেটের দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে দুই শিবিরে। তবে হ্যারি কেইন কিংবা পুলিসিকরা কেউই কাঙ্ক্ষিত গোল আর পাননি। ফলে ম্যাচের শেষ দিকে স্টার্লিংকে তুলে নিয়ে জ্যাক গ্রিলিশকে মাঠে নামান ইংলিশ কোচ। মাঠে নেমে তিনি বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তবুও একের পর আক্রমণ ব্যর্থ হয়ে যায়। ফলে দুই দলের চেষ্টার কমতি না থাকলেও জালের দেখা পায়নি কোনো দলই।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে দুবার মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও আমেরিকা। যেখানে জয়ের না পাওয়া ইংলিশদের বিপরীতে একটি জয় পেয়েছিল পরাশক্তির দেশটি। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে প্রথম দেখায় ১–০ গোলে জিতেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর ২০১০ আফ্রিকা বিশ্বকাপের ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছিল। এবার কাতার বিশ্বকাপ হলো নিষ্প্রাণ গোলশূন্য ড্র।
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপের দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইরানের সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে যুক্তরাষ্ট্র। আর তলানিতে থাকা ওয়েলসের সংগ্রহ ১ পয়েন্ট।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন