ফুটবল
নেইমারকে খোলা চিঠিতে যা লিখলেন কিংবদন্তি রোনালদো
হেক্সা মিশন নিয়ে আজ সোমবার ( ২৮ নভেম্বর) রাত ১০টায় ফিফা কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর নবম দিনে নিজেদের দ্বিতীয় খেলায় সুইজারল্যান্ড এর বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল।
বিশ্বকাপে সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচেই চোটে পড়েছেন। তার চোট নিয়ে ব্রাজিলে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে লড়াই। কেউ নেইমারের পক্ষে, কেউ বিপক্ষে।
আজকের শুধু নেইমার নয়, সার্বিয়া ম্যাচের পরই জানা গিয়েছিল সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দলের নির্ভরযোগ্য রাইট ব্যাক দানিলোকেও পাবে না দল। কারণ সেই গোড়ালির চোট। ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে পারেন দলের নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতা।
নেইমারসহ ব্রাজিল দলের নির্ভরযোগ্য তিন খেলোয়াড় ইনজুরিতে। তাদের ছাড়াই আজ মাঠে নামতে হচ্ছে ব্রাজিলকে! তাই সময়টা ভালো যাচ্ছে না তিতের শিষ্যদের।
জাতীয় দলের এ খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে অনেকে উল্লাস করেছে। যেটা দুঃখজনক।
ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি রোনালদো এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন অনুজদের। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখা খোলা চিঠিতে দাঁড়িয়েছেন নেইমারের পাশে।
২০০২ বিশ্বকাপজয়ী রোনালদো ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। ফাইনালে রহস্যজনক অসুস্থতা নিয়ে মাঠে নামলেও দলকে সহায়তা করতে পারেননি, ফ্রান্সের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল। এ নিয়ে প্রচুর সমালোচনা শুনতে হয়েছে রোনালদোকে। নিন্দুকের সেসব সময় পেছনে ফেলে পরের বিশ্বকাপে ঠিকই ব্রাজিলকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন রোনালদো।
চিঠিতে রোনালদো বলেন, ‘এই খোলা চিঠি আমি অন্য কোনোভাবে শুরু করতে পারতাম না—তুমি দুর্দান্ত নেইমার! জায়ান্ট!’
তিনি লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, আমার মতো বেশির ভাগ ব্রাজিলিয়ান তোমাকে ভালোবাসে। তোমার প্রতিভা তোমাকে এতটা উচ্চতায় নিয়ে গেছে বিশ্বের আনাচকানাচের মানুষ তোমাকে ভালোবাসে। যে উচ্চতায় তুমি উঠেছ, তাতে ঈর্ষা ও নেতিবাচক বিষয়গুলোর সঙ্গেও তো লড়তে হয়। তুমি যেভাবে উঠে এসেছ এবং যে মানের তারকা, তোমার চোটে পড়া উদ্যাপন করায় প্রশ্নগুলো করতে ইচ্ছা করছে, আমরা কতটা আধুনিক হতে পেরেছি? এ কেমন পৃথিবী? পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কী রেখে যাচ্ছি?’
তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ‘এসব ধ্বংসাত্মক কথার বিরুদ্ধেই আমার এই চিঠি। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসো! গোলের ক্ষুধা আরও বাড়ুক। মাঠ ও মাঠের বাইরে তুমি যেসব ভালো কাজ কর, সেসব মানুষের ঈর্ষার চেয়ে অনেক গুণে ভালো।
View this post on Instagram
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন