ফুটবল
একেই বলে জমজমাট ম্যাচ, তবুও কান্না দক্ষিণ কোরিয়ার
একেই বলে জমজমাট ম্যাচ! দক্ষিণ কোরিয়া-ঘানার খেলা দেখলে যেকোনো দর্শক ভক্ত তাই বলবে। ৫ গোলের ম্যাচে খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল। একের পর এক আক্রমণ ছিল। খেলা শেষে নাটকীয়তা ছিল।
তবে সব উত্তেজনা, নাটকীয়তা এসে থেমেছে ঘানার জয়ে এসেই। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ৫ গোলের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে আফ্রিকার দেশ ঘানা। ম্যাচ জিতলেও আফ্রিকান দেশ ঘানাকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছিল কোরিয়া।
ঘানার গোলরক্ষক লরেন্স আতি-জিগির অগ্নিপরীক্ষাই নিয়েছে এশিয়ান ফুটবলাররা। অবশ্য পরীক্ষায় বেশ ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ঘানার এই গোলরক্ষক। পুরো ম্যাচে কোরিয়ান ফুটবলাররা ২০টি আক্রমণ সংগঠিত করেছে। এরমধ্যে কিছু শটে তো নিশ্চিত গোল বলে মনে হচ্ছিল। তবে ২টি গোল হজম করা ছাড়া বাকিগুলো বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন লরেন্স।
অন্যদিকে ইতিহাস গড়েই জয় পেয়েছে ঘানাইয়ানরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দলটি এক ম্যাচে ৩ গোল দেওয়ার কীর্তি গড়তে পেরেছে। আর তাতে জয়ও নিজেদের করে নিতে পেরেছে দলটি।
এডুকেশন সিটি সেন্টারে এদিন খেলার গতিপথ বারবার বদলেছে। যদিও শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত ছিল দুই দলই। যেখানে অবশ্য শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ঘানার ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে ২-০ গোল ব্যবধানে এগিয়ে যায় ঘানা। ২৪তম মিনিটে দলটিকে এগিয়ে দেন মোহাম্মেদ সালিসু। এরপর ৩৪তম মিনিটে দলকে আরও এগিয়ে দেন মোহাম্মেদ কুদুস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৩ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল দিয়ে কোরিয়াকে সমতায় ফিরিয়ে দেন চো গিউ-সাং। খেলার ৫৮ এবং ৬১তম মিনিটে গোল আদায় করে নেন এই স্ট্রাইকার। তবে সমতা ৫ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি কোরিয়ানরা। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে নিজের জোড়া গোলে খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করে ফেলেন মোহাম্মেদ কুদুস।
এই হারে ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলতে ওঠার দৌড়ে প্রায় ছিটকে গেছে কোরিয়া। ২ ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট কোরিয়ানদের। অন্যদিকে ঘানা এই জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন