ফুটবল
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ড
চলতি কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের টিকিট পেতে হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না ওয়েলসের সামনে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডেরও শেষ ষোলো নিশ্চিত ছিল না। যার কারণে দুই দলের ম্যাচটি বেশ রোমাঞ্চকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। প্রথমার্ধে ইংলিশদের গোলবঞ্চিত করে অঘটনের স্বপ্ন দেখছিল গ্যারেথ বেলরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মার্কাস রাশফোর্ডের জোড়া গোল ও ফিল ফোডেনের একটিতে ৩-০ গোলে ওয়েলসকে উড়িয়ে দিয়েছে হ্যারি কেইনের দল। এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ওয়েলসকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
ইংলিশদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন মার্কাস র্যাবশফোর্ড। বাকি একটি গোল করেছেন ফিল ফোডেন। কিন্তু বারবার সুযোগ মিসের খেসারত দিয়েছে ইংল্যান্ড। নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পায়নি রাশফোর্ড-কেইনরা।
ম্যাচের ২৪তম মিনিটে ওয়েলসের ডি-বক্সের একটু সামনে থেকে সামনে থাকা রাশফোর্ডকে নিখুঁত এক পাস দেন কেইন। তবে গোলরক্ষক ওয়ার্ডকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। পরে ৩৫তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে বল পান ম্যানসিটির তরুণ তারকা ফোডেন। তবে তার বাঁ পায়ের জোরালো শট গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। যার কারণে প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থাতেই থাকতে হয়েছে দুই দলকেই।
তবে বিরতি থেকে ফিরে দুই মিনিটেই জোড়া গোল আদায় করে নেয় ইংল্যান্ড। ৫০তম মিনিটে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড। রাশফোর্ডের ডান পায়ের জোরালো শট বাম দিকের কোনাকুনি দিয়ে ওয়েলসের জালে জড়িয়ে যায়। গোলরক্ষককে হতভম্ব করে সমর্থকদের উল্লাসে মাতান এই তারকা।
তার ঠিক পরের মিনিটেই রাশফোর্ডের কাছে নিজেদের ডিফেন্সে বল হারায় ওয়েলসের খেলোয়াড়রা। এগিয়ে আসা সেই বল ইংলিশ অধিনায়ক কেইন পেয়েই বাম দিকে বাড়িয়ে দেন ফোডেনের কাছে। দারুণ এক ক্রসে তার শট খুঁজে নেন জালের দেখা।
দুই গোলে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে তার ১৭মিনিট পরে আবারও গোলের দেখা পাইয়ে দেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত দেখা রাশফোর্ড। ৬৮তম মিনিটে ডান দিকে একাই ডি বক্সে ডুকে দুজনকে ফাঁকি দিয়ে নিখুঁত শটে ওয়েলসের জালে বল জড়ান রাশফোর্ড।
রাশফোর্ডের জোড়া গোলের সুবাদে বিশ্বকাপের মঞ্চে ১০০ গোলের মাইলফলক অর্জন করে ইংল্যান্ড। তবে শেষদিকে আর গোলের দেখা না পেলে ৩-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
ফলে নকআউট পর্বের শেষ ষোলোতে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ সেনেগালের বিপক্ষে মাঠে নামবে। আগামী ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন