ফুটবল
ইউরোর স্পটলাইট থাকবে যাদের ওপর
ইউরো মানেই যেন তারকাদের দ্যুতি ছড়ানোর মঞ্চ। তেমনি নতুন কোন তারকার উত্থান। এবারও যেমন আলো ছড়াতে পারেন রোনালদো, এমবাপ্পে, গ্যারেথ বেলের মতো পরীক্ষিতরা। তেমনি চোখ থাকবে গ্রিনউড, মাউন্ট, পেদ্রির মতো নবীনরা। জেনে নিবো এবারের ইউরোয় কাদের উপর থাকছে লাইমলাইটটা।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
ক্লাব কিংবা জাতীয় দল। উপলক্ষ্য যাই হোক। বরাবরই স্পটলাইটে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তবে শুধু নামের ভারেই নয়, বুড়ো বয়সের পারফরমেন্সেও এখনও যে কারও বাজির ঘোড়া হতে পারেন সিআরসেভেন।
যৌথভাবে ইউরোর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা এককভাবে করে নিতে আর মাত্র একবার বল জালে জড়ানোর অপেক্ষা পর্তুগীজ অধিনায়কের। গেলো আসরের ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ভেঙে দিতে পারেন জাতীয় দলের জার্সিতে ইরানের আলী দাঈর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও।
রবার্ট লেভানডভস্কি
ইউরো মাতাতে প্রস্তুত রবার্ট লেভানডভস্কিও। ছোট দলের বড় স্বপ্নের সারথী এই গোল মেশিন। বায়ার্নের জার্সিতে স্বপ্নের মতো মৌসুম কাটানো নাম্বার নাইনের উপর থাকবে স্পটলাইট।
কিলিয়ান এমবাপ্পে
বয়স ২২ হলেও দায়িত্ব কম নয় কিলিয়ান এমবাপ্পের। তবে বড় মঞ্চে জ্বলে উঠার প্রমাণ দিয়েছিলেন সেই রাশিয়া বিশ্বকাপেই। সবশেষ মৌসুমে পিএসজির জার্সিতেও ছিলেন উড়ন্ত ফর্মে। ফরাসিদের তৃতীয় ইউরো স্বপ্নের বড় কারিগর হওয়ার সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন এই স্পিডস্টার।
লুকা মদ্রিচ
অবশ্য পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝানো যাবেনা লুকা মদ্রিচের মুন্সিয়ানা। ক্রোয়াটদের বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলার কারিগরের উপর এবারের দায়িত্ব মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন। এই মিডফিল্ডারে মধ্যমাঠের দখল হারাতে পারে যে কোন প্রতিপক্ষ।
থমাস মুলার
একঝাঁক উঠতি ফুটবলারের স্কোয়াড হলেও জার্মানির সাফল্যের নেপথ্যে নায়ক হতে পারেন থমাস মুলার। যদিও এখনও টুর্নামেন্টে গোলের দেখা পাননি মিডফিল্ডার। তবে বিশ্বকাপে দশ গোল করা মুলারেই নজর রাখবেন প্রতিপক্ষ কোচেরা।
হ্যারি কেইন
টুর্নামেন্টে অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইনেও চোখ রাখতে হবে ফুটবল প্রেমিদের। শেষ হওয়া মৌসুমে স্পার্স জার্সিতে যেমন গোল করেছেন, তেমনি, করিয়েছেনও বেশ। এবার বিলেতে ইউরো ফিরবে কিনা? অজানা প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করবে ইংলিশ অধিনায়কের পারফরমেন্সের উপর।
রোমেলো লুকাকু
এগারো বছরের খরা কাটিয়ে ইন্টারকে সিরি আ শিরোপা এনে দেয়ার অন্যতম নায়ক লুকাকুর এবারের মিশন ইউরো। হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনাদের সাথে বেলজিয়ামের স্বপ্ন সারথীও এই বিশালদেহী স্ট্রাইকার।
তবে পরিক্ষীতদের ভীড়ে আলো কেড়ে নিতে পারেন নবাগতরাও। ইংল্যান্ডের ট্রাম্প কার্ড হওয়ার সব উপাদনই আছে ম্যাসন মাউন্ট, গ্রিন উড রাশফোর্ডদের। স্পেনের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারে পেদ্রি আর ইতালির ৫৩ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর নায়ক হতে পারেন ফেদেরিকো শিয়েসা। ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং, জোয়াও ফেলিক্স কিংবা কাই হাভার্টজের মতো রাইজিং স্টাররাও প্রস্তুত ইউরোর মঞ্চ রাঙ্গাতে।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//