ফুটবল
আমি শক্ত আছি, বেঁচে আছি: পেলে
ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলে এখন ভালো আছেন। পেলের ভেরিফাইড ইনস্টাগ্রাম পোস্ট সে কথাই বলা হয়েছে। এর আগে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানায় ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ইন্সটাগ্রামে একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সেখানে পেলে লিখেছেন, বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের ফুটবল খেলা দেখছেন তিনি। মাতৃভূমির ফুটবল দলের খেলাই তাকে ‘শক্তি’ জুগিয়েছে।
এই ফুটবল কিংবদন্তি আরও বলেন, তিনি অনেক আশাবাদী এবং মনোবল এখনো মজবুত আছে।
এর আগে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কেমোথেরাপিতে ভালো সাড়া দিচ্ছে না ক্যানসার আক্রান্ত ৮২ বছর বয়সি পেলের শরীর ।
তবে পেলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বন্ধুরা, আমি চাই সবাই শান্ত ও ইতিবাচক থাকুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেক আশাবাদ নিয়ে শক্ত আছি, বেঁচে আছি। আমি নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছি। এ জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে মেডিকেলের ডাক্তার ও নার্সদের।’
তিনটি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের এই ফুটবলার লিখেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তার ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস আছে। এ ছাড়া, সারা বিশ্ব থেকে পাওয়া প্রতিটি ভালোবাসার বার্তা আমাকে ভরপুর শক্তি যোগাচ্ছে। আমি বিশ্বকাপে ব্রাজিলের খেলাও দেখছি। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে থাকা পেলেকে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় তার অসুস্থতা কতটা জটিল, তা নিয়েও তৈরি হয় ধোঁয়াশা। ইএসপিএন ব্রাজিল পেলের অবস্থা উদ্বেগজনক বললেও সে খবর সঠিক নয় বলে জানান পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, তার বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে খবর দেয়া হচ্ছে, তা সত্য নয়। নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এই কিংবদন্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৯৫৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই বড় ধরণের রেকর্ড করে বসেন তিনি। ওই বছর ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বনে যান পেলে। এরপর ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপেও শিরোপা জিতেন তিনি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন