Connect with us

অর্থনীতি

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে নতুন বছরে

Avatar of author

Published

on

যুদ্ধ-বিগ্রহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানান কারণে ২০২২ সালটি অর্থনীতির জন্য সুখকর ছিল না। মাত্র ২২ দিন পর আসছে নতুন বছর ২০২৩। অর্থনীতিবীদরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, সামনের বছরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী দেখা দেয় করোনা মহামারি। এতে করে থমকে যায় বিশ্ব অর্থনীতির চাকা। অনেকেই ভেবেছিল ২০২২ সালটি হবে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। কিন্তু এ বছর বিশ্ব দেখল রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, বড় বড় প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয়। ইতিহাসবিদ অ্যাডাম ট্রোজের মতে এটি একটি ‘পলিক্রাইসিস’বছর। এখন সামনের বছরে এরচেয়েও খারাপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

অ্যামস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামষ্টিক অর্থনীতি বিষয়ের অধ্যাপক রোয়েল বিটসমা বার্তাসংস্থা এএফপি বলেছেন, এ শতকের শুরুতে অসংখ্য সংকট শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন কঠিন পরিস্থিতি আমরা আর কখনো দেখিনি।

করোনায় বিপর্যস্ত ২০২০ সাল শেষে বিশ্ব যখন ২০২১ সালে পা দিল তখন বাড়তে থাকল জিনিসপত্রের দাম, দেখা দিল মুদ্রাস্ফীতি। অর্থনীতিবিদরা বললেন, এই মুদ্রাস্ফীতি সাময়িক সময়ের জন্য। দ্রুতই এটি কমে যাবে। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানির দাম আকাশচুম্বী হলো।

বিশ্বের অনেক দেশ এখন মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও সেই অনুযায়ী বেতন না বাড়ায় এখন অর্থ খরচের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

Advertisement

ব্যাংকগুলো ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে সুদের হার বাড়িয়েছে। এতে করে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে মন্দা দেখা দেয়ার শঙ্কা। কারণ সুদের হার বাড়ানোর কারণে মানুষ ব্যাংক থেকে ঋণ কম নেবে। এতে করে ধীর হয়ে আসবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম।

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কোঅপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) জানিয়েছে, বিশ্বের ২০ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে এ বছরের শেষ পর্যন্ত খুচরা পণ্যের দাম ৮ ভাগ বৃদ্ধি পাবে। পরের বছরের শুরুতে তা ৫.৫ ভাগে নেমে আসতে পারে।

ওইসিডি বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন সাধারণ মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসে।

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব যেন সাধারণ মানুষের ওপর না পড়ে সে চেষ্টা চালাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশ । এজন্য ৬৭৪ বিলিয়ন ইউরোর সহায়তা প্যাকেজ হাতে নিয়েছে তারা। এরমধ্যে জার্মানি নিজ নাগরিকদের জন্য খরচ করবে ২৬৪ বিলিয়ন ইউরো। কারণ রাশিয়ার জ্বালানির ওপর অতি নির্ভরশীল জার্মানিই সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে।

জানা গেছে, জার্মানিতে এখন প্রতি দুইজনের মধ্যে একজন ভেবে-চিন্তে খরচ করছেন। তারা প্রয়োজনীয় পণ্যটি আগে বেঁছে নিচ্ছেন।

Advertisement

অর্থনীতিবিদদের মতে জার্মানি, ইতালি মন্দায় পড়বে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিও নিম্নমুখী রয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এখনো আশা করছে ২০২৩ সালে ২.৭ ভাগ হারে অর্থনৈতিক পরিধি বাড়বে। ওইসিডির মতে এটি হতে পারে ২.২ ভাগ।

এছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২৬৮ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে বন্যার কারণে শুধুমাত্র পাকিস্তানই ৩০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

অর্থনীতি

বাংলাদেশের পাশে থাকবে আইএমএফ

Published

on

আইএমএফ

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা।  তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দেশের এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শপথ নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। চলমান পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকতে আইএমএফ ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘প্রাণহানি ও মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায়’ আইএমএফ গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশ ও দেশটির মানুষের প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে সংস্থাটি পাশে থাকবে।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণ অনুমোদন দেয় আইএমএফ। ইতোমধ্যেই তিন কিস্তিতে ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। আর ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে সংস্থাটির।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেশের জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশের সমতুল্য। সুতরাং, তাদের সমর্থন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

আজ ব্যাংক থেকে এক লাখের বেশি টাকা তোলা যাবে না

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংক

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠান আজ (০৮ আগস্ট)। সে জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক হিসাব থেকে এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তবে এ সিদ্ধান্ত শুধু আজকের জন্য প্রযোজ্য হবে।

বুধবার (০৭ আগস্ট) রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিদের এক জরুরি বার্তায় এ নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) এক হিসাব থেকে এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তবে যেকোনো পরিমাণ নগদ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করা যাবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজকের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে শাখায় টাকা দেয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ বেড়েছে। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় গত রাতে এ সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে কোনো সরকার নেই এবং আজ নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে। এই সময়ে কেউ যাতে নগদ টাকা নিয়ে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’

Advertisement

 

 

এসি//

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

এনবিআর চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ

Published

on

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে বরখাস্তের দাবিসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।আর বিক্ষোভের মধ্যেই চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুঞ্জন চলছে।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকেই এনবিআর এর প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

এনবিআরের কর্মচারীরা জানান, তারা দীর্ঘ দিন থেকে তাদের নানা দাবি ও অসুবিধা এনবিআর চেয়ারম্যানকে জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এসব দাবি তিনি পূরণ করেন নাই। বাইরের ক্যাডারের কর্মকর্তারা এনবিআর কর্মচারীদের কষ্ট বুঝতে চান না। তাদের ইচ্ছে মত করে চালাতে চান, সেটা কতটা যৌক্তিক তা ভেবে দেখার এটাই উপযুক্ত সময়।

এসময়ে আন্দোলনরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৯ দফা দাবি জানান।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

Advertisement

১। প্রশাসন ক্যাডার থেকে কোনো কর্মকর্তা প্রেষণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পদায়ন করা যাবে না।

২। স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে অবিলম্বে পদ থেকে বরখাস্ত করে আয়কর/কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে।

৩। অবিলম্বে স্বৈরাচারী চেয়ারম্যানের দোসর এবং প্রিয়পাত্র প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে কর ক্যাডারের কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে।

৪। দুই বছর পর পর বদলি বাণিজ্য বন্ধ করে আয়কর আইন-২০২৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আয়কর আদায়ের স্বার্থে অতীতের মতো রাজস্ব বান্ধব এবং প্রযোজ্যতা সাপেক্ষে বদলি করতে হবে।

৫। অবৈধ নিয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

Advertisement

৬। সব কর্মচারীদের পদায়ন কর্মচারীদের জন্য প্রণীত জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ও আইন অনুযায়ী করতে হবে।

৭। আয়কর অনুবিভাগের ১০তম-২০তম গ্রেডের সব শূন্য পদে পদোন্নতি দিতে হবে এবং সব পদ পদোন্নতিযোগ্য হতে হবে, কোনো পদ ব্লক রাখা যাবে না।

৮। কর্মচারীদের নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মচারীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় কোনো সিদ্ধান্ত মানা হবে না।

৯। সর্বশেষে আয়কর অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের সিদ্ধান্ত শুধু আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা নেবে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it