অন্যান্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ খেলা দেখাবে না ছাত্রলীগ
কাতার বিশ্বকাপে ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে আজ (৯ ডিসেম্বর) মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। হাইভোল্টেজের এ ম্যাচ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। এতো দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বড় পর্দায় বহিরাগতরা খেলা দেখে আসছেন। ব্যবস্থাপনায় ছিল ছাত্রলীগ।
তবে আজকের খেলা ক্যাম্পাসে বড় পর্দায় দেখাবে না ছাত্রলীগ।
আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তার ফেসবুক আইডিতে এ তথ্য পোস্ট করেন।
তিনি লিখেন- ‘বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার পরিকল্পনা’ চলছে এমন অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুধুমাত্র আজকের জন্য বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ দেখানো বন্ধ রেখেছে ছাত্রলীগ।
সাদ্দাম হোসেন আরও আগামীকাল (১০ ডিসেম্বর) থেকে বিশ্বকাপের ম্যাচ আগের মত দেখানো হবে।
সাদ্দাম হোসেনের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
বিএনপি-জামাতের নাশকতার অপচেষ্টা এবং ক্যাম্পাসে পরিকল্পিত সন্ত্রাস তৈরীর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। যে কোন মূল্যে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার শিক্ষার্থীদের দেয়া উপহার সেশনজটমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গণের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ নান্দনিক ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপন করছি যা বৈশ্বিক গণমাধ্যমেও দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
বিএনপি-জামাতের ঘোষিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম, বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার পরিকল্পনা, আগুনসন্ত্রাস ও বোমাবাজির নীলনকশার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকার অনুরোধ করছি।
বিশ্বকাপ ফুটবলের আজকের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বে ভিন্ন দুটি ম্যাচে জনপ্রিয় দুটি দল অংশগ্রহণ করতে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এতে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সফট টার্গেট হিসেবে এটিকে ব্যবহার করার আশংকা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে শুধুমাত্র আজকের জন্য মুহসীন হলের মাঠ, টিএসসি ও স্বোপার্জিত স্বাধীনতায় খেলা দেখানো বন্ধ থাকছে।
আমরা খেলার উদযাপনে মাতি, সুরের উদযাপনে মিশে যাই, দেশের বাইরে খ্যাতিমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণারত থাকি, ক্যাম্পাসে ল্যাব-ক্লাসরুমে নিবিড়ভাবে অধ্যয়নরত থাকি, বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মাতোয়ারা থাকি, মফস্বল থেকে উচ্চশিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীতে আসি, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় মানুষ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কঠোর তপস্যা করি, মাদ্রাসায় দেশরত্নের উপহার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির কোর্স ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভ করে ভাল কর্মসংস্থানের অপেক্ষায় প্রহর গুণি, পাহাড়ের কোন গহীন অরণ্যে বসে অনলাইনে মিটিং করি, বছরের প্রথম দিনে বইয়ের ঘ্রাণ নিই, মায়ের মুঠোফোনে উপবৃত্তির টাকা পাই, আমরা যেন একটা মূহুর্তের জন্য ভুলে না যাই যে আমাদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য, মফস্বলে রেখে আসা আমাদের বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য, উন্নত-আধুনিক-মানবিক-কল্যাণধর্মী রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যার কোন বিকল্প নেই।
দেশরত্ন শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, অর্থনৈতিক বিপ্লব, ডিজিটাল বিনির্মান, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রকল্প এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে যে অন্ধকারের শক্তিই বাঁধা হয়ে দাড়াবে, তাদের বিষদাঁত বাংলার মাটি থেকে উপড়ে ফেলতে হবে, ভেঙে দিতে হবে।
আগামীকাল থেকে আবার আমরা ক্যাম্পাসে মেতে উঠব ফুটবল বিশ্বকাপ উদযাপনে। আজকের বিরতি আগামীর বৃহত্তর উদযাপনের জন্য।
শুভ কামনা ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার জন্য।
অন্যান্য
ফের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবির শিক্ষার্থীরা
কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ চার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।
এর আগেও শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে গেলো ১, ২, ৩ ও ৪ জুলাই টানা চার দিন যথাক্রমে ১০ মিনিট, ২০ মিনিট, ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ও ৩৫ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
টিআর/
অন্যান্য
কোটা বাতিলের দাবিতে আজ শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি
কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে আজ সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন কোটা পদ্ধতি বাতিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে সারা দেশে কয়েক দিন ধরে টানা আন্দোলন করছেন তারা।
রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহবাগ মোড়ে অবরোধ শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। যদি বাধ্য করা হয়, আমরা প্রয়োজনে সারা দেশে হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আজকের ছাত্রসমাজকে আদালতের মুখোমুখি করা হচ্ছে, এ দায় নির্বাহী বিভাগ এড়াতে পারে না।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও সায়েন্স লাইব্রেরি খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি না খোলেন তাহলে আমরা নিজ দায়িত্বে খুলে নিতে বাধ্য হবো।
জেএইচ
অন্যান্য
৪র্থ দিনের মতো চলছে কোটা বিরোধী আন্দোলন, শাহবাগ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালসহ চার দফার দাবিতে চতুর্থদিনের মতো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় আশেপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে শাহবাগ অচল হয়ে পড়ে।
শনিবার (৪ জুলাই) বেলা আড়াইটা থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা নিজস্ব হলের ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে হলপাড়া-ভিসি চত্বর-টিএসসি-বুয়েট, ইডেন কলেজ হয়ে বেলা পৌনে ৫টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। আজকের বিক্ষোভে সর্বোচ্চ উপস্থিতি হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও শিক্ষার্থীরা যোগদান করেন।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার) ৩ দিন ব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির শুক্রবার ১ম দিনের কর্মসূচিতে অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় ৭০টিরও অধিক বিভাগ ও ইন্সটিটিউট। ফলে আজ বিভিন্ন বিভাগ থেকেও পৃথক পৃথক ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড়ে বসে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ফলে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ -সাইন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সাধারণ জনগণ গাড়ি ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতে থাকেন। তবে এম্বুলেন্সের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা জায়গা করে দেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার”, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, “কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন৷
আরও পড়ুন: যবিপ্রবিতে ৭ দিন ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধে শাহবাগের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা নিজেদের অবস্থান গ্রহণ করেছি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উপর নির্ভর করবে কতক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে আজকে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। আগামীকাল আমাদের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি শেষ হবে। আজ শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিরভপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৪ দফা দাবিতে দেশব্যাপী লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রসমাজ। ৪ দফা দাবিগুলো হলো-
১। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
২। ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ছাড়া);
৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।
৪। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
টিআর/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন